ঢাবি শিক্ষক সমিতির কার্যালয় থেকে শেখ মুজিব-হাসিনার ছবি সরিয়ে ফেললো ছাত্রদল

  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির কার্যালয় থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে ফেলেছেন শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। আজ রবিবার (৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাবি ক্লাবের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত এই কার্যালয়ে গিয়ে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল শাখা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক  মো. আবুজার গিফারী ইফাত ও কর্মী মুহাম্মদ আরকানুল ইসলাম রূপকের নেতৃত্বে ছবি দুটি সরিয়ে ফেলা হয়।

এর আগে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে ‘ঢাবি শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে এখনো ঝুলছে শেখ হাসিনার ছবি’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে গিয়ে ছবি দুটি সরিয়ে ফেলেন তারা।

এ বিষয়ে আবুজার গিফারী ইফাত দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, সারাবাংলার আন্দোলনের সূত্রপাত যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, সেখানে কোনোভাবেই পলাতক স্বৈরাচারের ছবি মানা যায় না। ঢাবি শিক্ষক সমিতির রুমে এখনো স্বৈরাচারের ছবি ঝুলানো আছে, এমন নিউজ পাওয়ার সাথে সাথে আমি আর রূপক তাৎক্ষণিকভাবে গিয়ে ছবিটি নামিয়ে রাখি।

ঢাবি শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন শাওন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, স্বৈরাচারের দোসরদের কোনো চিহ্ন এই ক্যাম্পাসে থাকবে না। যদি থাকে তাহলে সেটি ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটের সঙ্গে যাবে না। তাই ক্যাম্পাসের সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে বিষয়টি জানার পর ছোট ভাইয়েরা অতিদ্রুত স্বৈরাচারের চিহ্ন সরিয়ে নিয়েছে। তাদের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।

জানা যায়, ঢাবি সমিতির সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত বছরের ডিসেম্বর মাসে। এতে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সাদা দল বর্জন করায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল আওয়ামী লীগ সমর্থিত নীল দলের প্যানেল। এর ফলে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিনা ভোটে নীল দলের পুরো প্যানেল সমিতির বর্তমানে দায়িত্বে রয়েছে। 

ঢাবি ক্লাবের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত এই কার্যালয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভুঁইয়া এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পূর্বে নিয়মিত বসলেও এখন আর অনিয়মিত বসেন না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। আজ দুপুরে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বসার চেয়ার পেছনে ঝুলছে শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার ছবি। যদিও গত ৫ আগস্টের পর দেশের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় থেকে শেখ হাসিনার ছবি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ