সাত কলেজ অধিভুক্তি বাতিল ও হল নির্মানের দাবিতে ঢাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০২ PM , আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০২ PM
সাত কলেজ অধিভুক্তি বাতিল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মেয়েদের হল নির্মাণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করেছে সাত কলেজ অধিভুক্তি বাতিল চাই আন্দোলনের একদল শিক্ষার্থী। শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনের সামনে আয়োজিত ব্যানারে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করে তারা।
বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী দিবা কালাম বলেন, আজকের আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ঢাবির অধিভুক্তি বাতিল করা নিয়ে। যেটা নিয়ে বিগত সময়ের অনেক আন্দোলন সমাবেশ হয়েছে। যেখানে ঢাবির কোনো শিক্ষার্থী চায়না, সাত কলেজ আমাদের সাথে থাকুক, সাত কলেজও চায়না তারা অধিভুক্ত থাকুক তাহলে ঢাবি প্রশাসন কোন অভ্যন্তরীণ এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য এখনও এমন সিদ্ধান্তে বহাল আছে তা আমাদের কাছে স্পষ্ট করতে হবে এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি কোনো স্থাপনার জন্য ইট গাঁথা হয় সেটা কেবলই মেয়েদের হল নির্মাণের জন্য হবে, কোনো অভিভূক্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য না।
একই হলের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কী হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার উপদেষ্টা পরিষদ কারা? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ আবাসিক সুবিধা নেই, সেসব না করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরেই নাকি সাত কলেজের জন্য আলাদা অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। আমরা এত সহজে এসব মেনে নেবো না। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রহসন সহ্য করা হবে না। অবিলম্বে সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পৃথক করে দিতে হবে।
তিনি বলেন, ২২ তারিখ আমরা এই ভিসি চত্বরেই আন্দোলন করেছিলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এসে আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন। আমরা ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা কী দেখলাম? দেখলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনেই নাকি সাত কলেজ থাকবে। আমরা এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যদি আমাদের দাবি না মানা হয় তাহলে আমরা সব ভবনে তালা লাগিয়ে দেওয়ার মতো কঠোর কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হবো।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিলেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরাও। কিন্তু কারো দাবির প্রতি কর্ণপাত না করে গতকাল উপদেষ্টা পরিষদ সাত কলেজকে ঢাবির অধিভুক্ত রেখেই তাদের জন্যে আলাদা অবকাঠামো নির্মাণের ঘোষণা দেয়।