প্রশাসনিক কার্যক্রমে ধীরগতি নিয়ে যা বলল ঢাবি প্রশাসন
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩৩ PM , আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৫২ PM
দুই মাস পেরিয়ে গেলেও শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করা আর মিটিং করা ছাড়া কার্যকর কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করতে দেখা যায়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নতুন প্রশাসনকে। তবে শিগগিরই কিছু দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারকালে দ্রুতই দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানান তিনি।
জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে হাসিনা সরকারের পতনের পাশাপাশি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২৯তম উপাচার্য আওয়ামীপন্থী নীল দলের অন্যতম সদস্য অধ্যাপক এ এস মাকসুদ কামাল। পরবর্তী সময়ে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান। পরে নানা আলোচনার মধ্য দিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা ও উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদকে। পরিবর্তন করা হয় একাধিক ডিন ও হল প্রাধ্যক্ষকে।
এত পরিবর্তনের পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রমে ব্যাপক ধীরগতি দেখা দিয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, দ্রুতই অনেকগুলো কাজ দৃশ্যমান হবে এবং পূর্ণ গতিতে কার্যক্রম চালু হবে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতার পর থেকে ঢাবি ক্যাম্পাসে যত লাশ
কার্যক্রমে ধীরগতির বিষয়টি স্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম একটু ধীরে চলছে। আমাদের দুই মাসের প্রথম মাস তো শিক্ষা কার্যক্রম ফিরিয়ে আনতেই ব্যয় হয়েছে। পরে আমরা বারবার মিটিং করেছি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কার্যকর এমন নানা পদক্ষেপও আমরা নিয়েছি। দ্রুতই অনেক কাজ দৃশ্যমান হবে।’
তিনি বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম মাস ছিল শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করা। নানা দ্বন্দ্ব সমাধান করে আমরা প্রথম মাসে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করেছি। আমাদের ৯০ শতাংশ সময় একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং, ফাইন্যান্স কমিটির মিটিংসহ বিভিন্ন ফাইলের কাজ করতে করতেই চলে যায়। বাকি ১০ শতাংশ সময় হাতে নিয়েই আমরা কতগুলো প্ল্যান নিয়ে কাজ করছি। কয়েকটি হল মেরামত নিয়ে আমাদের কাজের পরিকল্পনা হয়েছে। মেডিকেল সেন্টার নিয়ে কাজ শুরু করেছি সেখানে নারীদের জন্য তিনতলায় ওয়াশরুম, ইমারজেন্সি ও ঔষধ কক্ষে এসি লাগানো, অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার নিয়োগসহ কয়েকটি কাজ করার চেষ্টা করছি। ক্যাম্পাসে শাটল বাসের ব্যাপারে কাজ করছেন কোষাধ্যক্ষ। খুব দ্রুতই এটার আপডেট জানা যাবে।’
আরও পড়ুন: ঢাবিতে রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্তের বিষয়ে যা বললেন সারজিস
ছাত্র রাজনীতি ও ডাকসু নির্বাচন সম্পর্কে সায়মা হক বিদিশা বলেন, ‘ছাত্র রাজনীতি ও ডাকসু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের একটা কমিটি করার চিন্তা-ভাবনা আছে। কিছুদিনের মধ্যেই এই চিন্তা ভাবনার বহিঃপ্রকাশ দৃশ্যমান হবে।’
তিনি বলেন, ‘আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে আমরা আস্তে আস্তে কাজ করে যাচ্ছি। ফুল স্পিডে কাজ করতে হলে আমাদের আরেকটু সময় দিতে হবে। এ জন্য তো কাজ ফেলে রাখা যাবে না। যাতে করে স্থবিরতা তৈরি না হয় সে জন্য জরুরি এজেন্ডাগুলোকে কমিটি গঠনের মাধ্যমে বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে আমরা যেহেতু সৎভাবে কাজ করার চেষ্টা করছি অবশ্যই ভালো রেজাল্ট আসবে।’