ঢাবিতে রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন সংস্কার দাবি  

ঢাবিতে রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন সংস্কার দাবি  কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস বিভাগের শিক্ষার্থীদের
ঢাবিতে রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন সংস্কার দাবি  কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস বিভাগের শিক্ষার্থীদের  © টিডিসি

বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন সংস্কারসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ওই আইনের একটি ধারায় ‘স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্টের’ যোগ্যতার মাপকাঠি হিসাবে শুধু ওই বিষয়ের ওপর বিএসসি ডিগ্রিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে যা বৈষম্যমূলক, ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক বলে জানায় শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হলো–

এক. বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল এ্যাক্ট-২০১৮ এর বৈষম্যমূলক ধারা সংস্কার করে Speech & Language Therapist এর যোগ্যতার মাপকাঠি হিসেবে BSS in Speech and Language pathology এবং অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে MSS in Speech and Language pathology ডিগ্রি তফসিলভুক্ত করতে হবে।

দুই. বিদ্যমান ৩২ সদস্য বিশিষ্ট রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিলের প্রশ্নবিদ্ধ সদস্যদের বাদ দিয়ে সকল অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে কাউন্সিলের যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে।

তিন. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও পেশাজীবীবিদের প্রতি হয়রানিমূলক রিট উইথড্র করতে হবে।

চার. উপরোক্ত দাবিগুলো পূরণ করার পূর্বে এই রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিলের মাধ্যমে কোনো তফসিল বা নীতিমালার খসড়া যেমন, রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্বীকৃতি বিষয়ক নীতিমালা ২০২৪ ও রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবির নিবন্ধন ও প্র্যাকটিশনার লাইসেন্স প্রদান ২০২৪ অনুমোদন করা যাবে না।

এসময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারসের তৃতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী আরিফুল হাসান, নিসর্গ নিঝুম, নাবিদ নেওয়াজ এবং মাসুম বিল্লাহ। এ সময় বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই এক্ষেত্রে বিএসসি, বিএসএস এবং বিএ ডিগ্রিকে সমানভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবং কর্মক্ষেত্রেও সমান সুযোগ দেওয়া হয়। সেখানে আমাদের দেশে টেকনিক্যাল ডিগ্রির আদলে শুধু বিএসএস ডিগ্রির মধ্যেই একে সীমাবদ্ধ রাখাটা অযৌক্তিক।

রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিলকে ‘বৈষম্যবাদী’ আখ্যা দিয়ে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, এখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস বিভাগের কোনও অংশীজনকে রাখা হয়নি। এছাড়া তাদের মনগড়া ও ভিত্তিহীন একটি পকেট কমিটি এই বিভাগের বিরুদ্ধে একটি হয়রানিমূলক রিট করে যা অত্যন্ত দৃষ্টিকটু ও হীন মানসিকতার পরিচায়ক।

সংবাদ সম্মেলন থেকে দ্রুত এসব দাবি মেনে নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আগপর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকারও হুঁশিয়ারি দেন তারা।


সর্বশেষ সংবাদ