অভ্যুত্থানের এক মাস পূর্তি উপলক্ষ্যে রাজশাহীতে ‘শহিদি মার্চ’ কর্মসূচি পালিত
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩০ PM , আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩০ PM
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের এক মাস পূর্তি উপলক্ষ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘শহিদি মার্চ’ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ নগরীর স্কুল-কলেজের শত শত শিক্ষার্থী স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর তালাইমারি মোড়ে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহিদি মার্চে শহিদদের স্মরণ করে ছবি, প্ল্যাকার্ডও বিভিন্ন স্মারক নিয়ে নানা রকম স্লোগান দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এসময় ‘শহিদদের স্মরণে, ভয় করি না মরণে’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’সহ নানা স্লোগান দেন তারা।
কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক গোলাম কিবরিয়া মেশকাত চৌধুরী বলেন, স্বৈরশাসক ফ্যাসিবাদী হাসিনাকে আমরা যেভাবে টেনে হিঁচড়ে বিতাড়িত করেছি, আগামীতে যদি কেউ এরকম করে, তাহলে ছাত্র জনতা তাকেও বিতাড়িত করবে। দেশটাকে গঠন করতে হলে সবার আগে নিজেকে গড়তে হবে। গত ১৫ বছর ধরে হাসিনা তার লোকজন নিয়ে দেশটাকে লুটেপুটে খেয়েছে। ১৯৭১ সালে দেশটা যখন স্বাধীন হলো মুজিব তখন বলেছিল, এতদিন অন্যরা খেয়েছে এখন আমার লোকেরা খাইব। এখন আপনারা যদি বলেন এতদিন আওয়ামী লীগ খেয়েছে এখন ছাত্ররা খাবে, তাহলে তার পরিণতিও আওয়ামী লীগের মতোই হবে৷ এটা কখনই বলা যাবে না, এটা আন্দোলনের স্পিডও না। আমাদের হাজারো ভাই জীবন দিয়েছে দেশটাকে গড়ার জন্য। এখনো শহিদি মিছিল অব্যাহতই রয়েছে। তাই এই রক্তের সাথে বেইমানি করবেন না। যা কিছু করেন, মনে রাখবেন এটা রক্তের উপর দাঁড়ানো একটা গণঅভ্যুত্থান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাবি শাখার অন্যতম সমন্বয়ক রাশেদ রাজন বলেন, ২৪-এর এই বিপ্লবের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশ থেকে চিরতরে ফ্যাসিবাদ নির্মূল করা। জনসাধারণের বাংলাদেশ তৈরি করা। আমাদের এই সংগ্রাম চলতে থাকবে, যতদিন পর্যন্ত না এই বাংলাদেশ জনসাধারণের বাংলাদেশ হয়ে গড়ে ওঠে। ২৪ পরবর্তী আর কোনো ফ্যাসিবাদ এই দেখে জন্মগ্রহণ করবে না, সেটা প্রতিহত করবে এদেশের ছাত্র-জনতা, শ্রমিক ও সর্বস্তরের সাধারণ জনগণেরা। বাংলাদেশে কোনো অন্যায় অবিচার হবে না; এই দেশ হবে স্বচ্ছ জবাবদিহিমূলক বাংলাদেশ, যেখানে আইনের শাসন কায়েম হবে। বাংলাদেশ আমেরিকা-ভারতের নির্দেশনাই চলবে না; এই দেশ চলবে জনসাধারণের নির্দেশনাই। আমরা গণমানুষের ঐক্য তৈরি করতে চাই।