০৪ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৪৯

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা

সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে শিক্ষকরা।  © ফাইল ছবি

সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের চলমান আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভুঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে—প্রত্যয় স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণ বাতিল করায় এবং উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় সংকটে চলমান আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার (৩ আগস্ট) অনলাইন প্লাটফর্মে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতির সভাপতিত্বে ও মহাসচিবের সঞ্চালনায় একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়সহ স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রত্যয় স্কিমে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল প্রসঙ্গে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। 

আরও পড়ুন: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থার শঙ্কা

শিক্ষকদের আরও দুটি দাবি (স্বতন্ত্র পে-স্কেল ও সুপার গ্রেড) পূরণের ইতিবাচক আশ্বাস দেওয়ায় বৈঠকে 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা উপদেষ্টার প্রতি ধন্যবাদ জানানো হয়। পাশাপাশি দেশে কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতিতে ও রাষ্ট্রীয় সংকটে চলমান আন্দোলন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আশ্বাস মোতাবেক স্বতন্ত্র পে-স্কেল এবং সুপার গ্রেডের দাবি পূরণে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করবে বলেও আশাবাদ জানিয়েছে ফেডারেশন।

আরও পড়ুন: প্রস্তাবকারীরাই সর্বজনীন পেনশনে থাকতে চান না, শিক্ষকদের বলে ‘আপনারা তো অতুলনীয়’

এর আগে সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রজ্ঞাপন জারি করে দেশের স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্টায়ত্ত্ব, সংবিধিবদ্ধ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রত্যয় স্কিমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। 

এরপর থেকেই সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য সুপার গ্রেড কার্যকর ও স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে বিগত মে থেকে কর্মবিরতিসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন দেশের সরকারি উচ্চশিক্ষালয়গুলোর শিক্ষকরা।