সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা কোটা সংস্কারপন্থীদের

  © টিডিসি ফটো

দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আন্দোলনরত সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারপন্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর শাহবাগ অবরোধ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এর আগে দুপুর ১২টা থেকেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখেন।

নতুন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-আগামীকাল শুক্রবার (৫ জুলাই) সব বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন-অফলাইনে গণসংযোগ, পরের দিন শনিবার (৬ জুলাই) বেলা ৩টায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ এবং আগামী রবিবার (৭ জুলাই) ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন।

জানা যায়, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ হোসেন শাহবাদ থেকে এই ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে শাহবাগ ত্যাগ করেন আন্দোলনকারীরা।

এসময় নাহিদ বলেন, কোটা পুনর্বহাল শিক্ষার্থীদের সাথে একটি প্রহসন। নির্বাহী বিভাগ একটি আদেশ দিচ্ছে বিচার বিভাগ সেটি বাতিল করে দিচ্ছে। শিক্ষার্থীরা এই প্রহসন মেনে নিবে না। নির্বাহী বিভাগের এখনও ক্ষমতা আছে কোটা প্রথা বাতিল করার। 

তিনি বলেন, নির্বাহী বিভাগকে আমরা প্রশ্ন করতে চাই তারা কী পরিপত্র জারি করলো যেটা পাঁচ বছরের মধ্যে হাইকোর্ট বাতিল করে দিলো? তার মানে এই পরিপত্রের মধ্যে কোনো ঝামেলা আছে। আমরা এই প্রহসন মানি না। আমাদের এই আন্দোলন চলমান থাকবে। সরকার থেকে আমাদের সাথে কোনো ধরনের যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়নি। আমরা এর নিন্দা জানাই।

এসময় তিনি পরবর্তী ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, আগামীকাল অনলাইন এবং অফলাইনে আমাদের চার দফার ভিত্তিতে একটি সমন্বয় করা হবে; আগামী শনিবার সারা দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে এবং আগামী রবিবার সকল বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে শিক্ষার্থী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি এদিন ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করা হবে।

এসময় তিনি সারাদেশে যারা কোটা বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

তাদের দাবিগুলো হলো:  
১। ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধা-ভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে। 

২। ১৮ এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। 

৩। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শুন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে। 

৪। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধা-ভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ