ছাত্র-শিক্ষক, কর্মচারীদের ত্রিমুখী আন্দোলনে আজও অচল ঢাবি, অবরুদ্ধ শাহবাগ

  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশে একযোগে চলছে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী শিক্ষার্থীদের ত্রিমুখী আন্দোলন। ত্রিমুখী আন্দোলনে পহেলা জুলাই থেকেই অচল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। অন্যদিকে ৪র্থ দিনের মত অবরুদ্ধ রয়েছে শাহবাগ মোড়। গাড়ি গুলো বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করছে।

এক দিকে শিক্ষার্থীদের কোটা বিরোধী আন্দোলন অন্যদিকে শিক্ষক-কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন (প্রত্যয়) স্কিম বিরোধী আন্দোলন। বৃহস্পতিবার আন্দোলনের ৪র্থ দিনে ত্রিমুখী এই আন্দোলন নিয়ে উত্তাল অবস্থা বিরাজ করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। 

এদিকে শাহবাগ অবরুদ্ধ করে কঠোর অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীরা।  নিজেদের অবস্থান দীর্ঘস্থায়ী করতে সেখানে প্রতিবাদী গান ও আবৃত্তি করেন শিক্ষার্থীরা। 

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আগামীকাল থেকে মহাসড়ক অবরোধ করার ঘোষণা দেন। এ সময় কোটা পুনর্বহালের রায় বাতিল করা না হলে সব ধরনের পরীক্ষা-ক্লাস বর্জনের কথা বলেন তারা।

একই সময়ে ঢাবির কলা ভবনের প্রবেশপথে ৪র্থ দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষক সমিতি। শিক্ষক সমিতির নেতাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর আজ বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাষ্ট্রীয় কাজে ওবায়দুল কাদেরের ব্যস্ততার কারণে বৈঠকটি স্থগিত করা হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক নিজামুল হক ভুঁইয়া।

এ সময় শিক্ষকদের যৌক্তিক আন্দোলন উপর মহলের বিবেককে নাড়া দিচ্ছে বলে জানান, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা। তিনি বলেন, সরকার আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আমরা ক্লাসে ফিরব না। কোনো অপশক্তির কাছে মাথা নত করব না।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের সামনে ৪র্থ দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা কর্মচারী সমিতি।  এ সময় তারা পূর্বের ন্যায় আন্দোলন অব্যাহত রাখার কথা জানান। 

স্কিম নিয়ে সরকারের কর্মকাণ্ডকে একচোখা আখ্যা দিয়ে আন্দোলনকারীদের দাবিগুলোর প্রতি কর্ণপাত না করা নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আহবায়ক ও আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল মোত্তালিব।


সর্বশেষ সংবাদ