কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে সড়ক অবরোধ চবি শিক্ষার্থীদের
- চবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০১:৫১ PM , আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০২:১০ PM
সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে (৯ম থেকে ১৩ তম গ্রেড) কোটা বাতিলসংক্রান্ত পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই রায়ের প্রতিবাদ ও কোটা ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ১ নং গেইট এলাকার চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৩ জুলাই) দুপুর ১টা থেকে সড়ক অবরোধ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা ‘সারা বাংলা খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘মেধা না কোটা? মেধা- মেধা’, ‘মেধাবীদের কান্না, আর না, আর না, কোটার বিরুদ্ধে-লড়াই হবে একসাথে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।
এসময় চার দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হল- ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে, ২০১৮ এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকুরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে, সরকারি চাকুরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে এবং সবশেষ দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। আমরা আজ তৃতীয় দিনের মত আন্দোলন করছি। শিক্ষার্থীরা জেগেছে উঠেছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল বৈষম্যের বিরুদ্ধে, তাহলে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীনের পর আমাদের সাথে কেন বৈষম্য করা হচ্ছে? আমরা ৫৬ শতাংশ কোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বো না।
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবি আজ তৃতীয় দিনের মত একযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের ১৩ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন চলছে।