ইউজিসি সদস্যদের দেখা দেননি চবির সাবেক উপাচার্য শিরীণ আখতার
অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে চবিতে এসেছেন ইউজিসির গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৪, ০৩:৪২ PM , আপডেট: ১০ জুন ২০২৪, ০৩:৪৫ PM
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শিরীণ আখতারের বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন ধরনের আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়ম তদন্ত শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কমিটি।
রবিবার (৯ জুন) চার সদস্যের তদন্ত কমিটির সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসেন। তাদের সঙ্গে কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর নুরুল আজিম সিকদার, হিসাব নিয়ামক, শিক্ষক নিয়োগ শাখা এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার।
দিনভর ক্যাম্পাসে অবস্থান করে ইউজিসির গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা বিভিন্নজনের সাক্ষাৎকার নেন। তবে সাক্ষাৎকার দিতে ডাকা হলেও ক্যাম্পাসে আসেননি সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। অসুস্থ থাকায় তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হতে পারবেন না বলে কমিটির সদস্যদের জানান তিনি।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদ ভবন উদ্বোধনে ৪৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়। এতে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক উপাচার্য শিরীন আখতারের বিরুদ্ধে। এ অবস্থায় ব্যয়ের ব্যাখ্যা চেয়ে দুই দফায় চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। কিন্তু সন্তোষজনক জবাব না পাওয়ায় এ বিষয়ে তদন্তে নামে ইউজিসি।
চার সদস্যের তদন্ত কমিটির সদস্যরা এদিন বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসেন। বৈঠক করেন সাবেক প্রক্টর নুরুল আজিম সিকদারসহ হিসাব নিয়ামক, শিক্ষক নিয়োগ শাখা এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রারের সঙ্গে।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, মন্ত্রীসভায় দায়িত্ব পাওয়া দুই মন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শিরীণ আখতারের পত্রিকায় দেওয়া বিজ্ঞাপন খরচের বিষয়েও তদন্ত করছেন ইউজিসি তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
পাশাপাশি উপাচর্যের দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে উপাচার্যের পদাধিকার বলে বেশ কিছু অবৈধ নিয়োগসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ও আইন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম শুরু করা যথার্থ ছিল কি-না সেবিষয়ে ইউজিসির পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তব্য সন্তোষজনক নয় মর্মে প্রতীয়মান হয় এছাড়া নানা অভিযোগ এই তদন্তে অন্তর্ভুক্ত ছিল।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, আমরা ঘটনা সংশ্লিষ্ট অনেকের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। সাবেক উপাচার্য অসুস্থ থাকায় সাক্ষাৎকার দিতে আসতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। তিনি সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য পরে মঞ্জুরি কমিশনে যাবেন বলে জানান।