তাপদাহে ঢাবির ক্লাস বন্ধ নিয়ে যা ভাবছে প্রশাসন-শিক্ষার্থীরা

  © ফাইল ছবি

তীব্র গরম ও তাপপ্রবাহে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন রাজধানীবাসী। রাজধানীর বাইরের কয়েকটি জেলায় গরমের তীব্রতা আরও বেশি। তাপমাত্রা গড়িয়েছে ৪২ থেকে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্তও। এরইমধ্যে দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) একাডেমিক কার্যক্রমের কোনো ছুটি থাকবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে ছুটি প্রয়োজন কিনা সে বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। 

শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, যেসব শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকেন এবং ইতোমধ্যে হলে চলে এসেছেন তারা চান না একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ হোক। অপরদিকে যারা ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে বাসে আসেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগই চান বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ থাকুক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রতন চন্দ্র সরকার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমি তো হলে চলেই এসেছি। আর যারা হলে থাকে তাদের জন্য ক্লাস বন্ধ হলেই বরং সমস্যা। তার থেকে ভালো ক্লাস হোক। 

বিজয় একাত্তর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এখন ক্লাস বন্ধ হলে আমরা আবার টাকা খরচ করে তো গ্রামে যেতে পারবো না। আর গ্রামেও যে গরম নেই এমন নয়। তার থেকে ভালো ক্লাস হোক। কারণ বেশির ভাগ বিভাগেই ক্লাসরুমে এসি রয়েছে।

অন্যদিকে গাজীপুর থেকে বাসে আসা এক অনাবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, এই গরমে বাসে চেপে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া আসা অনেক কষ্ট হবে। কিছুদিন বন্ধ রেখে গরমটা কমলে হয়তো যাওয়া আসা করা যেতো। আমরা চাই কিছুদিনের জন্য হলেও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হোক যেহেতু সরকার স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমাদের হল আছে এবং যারা বাইরে থাকেন তাদের জন্য বাস আছে। সুতরাং কাউকে রোদে হেঁটে ক্যাম্পাসে আসতে হয় না। যেটা গ্রামাঞ্চলে শিক্ষার্থীদের করতে হয়। এছাড়াও আমাদের প্রতিটা বিভাগে এসি রয়েছে। শিক্ষার্থীরা ক্লাসে এসে আরামে ক্লাস করবে, বেশি বেশি পানি পান করবে, এসির মধ্যে অবস্থান করবে এবং ক্লাস শেষে হলে ফিরবে।

তিনি বলেন, আমাদের ক্লাস বন্ধ করার কোনো কারণ নেই। তবে দুপুরে অনেক বিভাগে যে ফিল্ড ওয়ার্ক থাকে সেটা সীমিত করা যেতে পারে। আমি আগামীকাল উপাচার্য স্যারের সাথে কথা বলবো। সবার সম্মিলিত সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নিবে।


সর্বশেষ সংবাদ