ঢাবিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ‘বশেমুরবিপ্রবি রাজশাহী স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন’
রাজশাহীর পাবলিকিয়ানদের সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন অব রাজশাহীর(পুসার)’ আয়োজনে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে (ঢাবি) হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)। রবিবার (১৪ই এপ্রিল) পুসারের আয়োজনে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমির মিলনায়তনে রাজশাহীর পাবলিকিয়ানদের ঈদ পুনর্মিলনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজশাহী জেলার আওতাধীন শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই আয়োজন। দেশের মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিংসহ দেশের ৪০টির অধিক বিশ্ববিদ্যালয় এই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। পূর্বের কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে ফাইনালে পৌঁছায় এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়।
ফাইনালে বিতর্কের বিষয় ছিল ‘এই সংসদ, বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি সমর্থন করে না’। যাতে সরকার দল হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিরোধী দলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। বিজয়ী বিতার্কিকরা হলেন তানহিম রহমান, মোহাম্মাদ আলী তোহা, নাঈমা সুলতানা।
বিজয়দের হাতে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার তুলে দেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খাইরুজ্জামান লিটন। এসময় তিনি বিজয়ী এবং বিজিত দুই বিশ্ববিদ্যালয়কেই অভিনন্দন এবং সকলের জন্য শুভকামনা জানান।
আরও পড়ুন: চলে গেলেন বিসিএসের স্বপ্নে ঈদে বাড়ি না যাওয়া বেরোবি ছাত্র আফ্রিদি
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, উচ্চ শিক্ষায় দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ স্থানে ২য় অবস্থানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। নতুন প্রজন্মকে যুগোপযোগী শিক্ষায় গড়ে তুলতে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের আগামীর দেশ গড়ার দায়িত্ব নিতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করছেন। বর্তমান আগামী প্রজন্মকে মেধাবী জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। প্রযুক্তি নির্ভর জাতি গঠনে এ সরকার প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ শুরু করে।যার সুফল ভোগ করছি। ঘরে বসে সকল সেবা প্রাপ্তি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের সুফল। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু হয়েছে।
সিটি মেয়র বলেন, স্মার্ট রাজশাহী বিনির্মাণে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কর্মশালায় ১৬২টি উদ্যোগ চিহ্নিত করা হয়েছে।২০৪১ সালের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ২০টি উদ্যোগ নিয়ে শুরু করতে চাই। এই কাজগুলি বাস্তবায়ন করতে এক ঝাঁক তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীর প্রয়োজন।
বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কর্ম কমিশনের সদস্য ও রাবির গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষক ড. প্রদীপ কুমার পান্ডের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা এমপি, সাবেক উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সারোয়ার জাহান সজল, বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলু, রাবির সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস শিল্পী, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম।