জাবির সিনেট-সিন্ডিকেটসহ মেয়াদউত্তীর্ণ সব গণতান্ত্রিক পর্ষদের নির্বাচন দাবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়  © সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গণতান্ত্রিক পর্ষদের মেয়াদউত্তীর্ণ আটটি পদের নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের একাংশ ও বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সম্মিলিত জোট 'শিক্ষক ঐক্য পরিষদ'। 

রবিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের উপাচার্য কার্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের কাছে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট, সিন্ডিকেট, শিক্ষা-পর্ষদ, ডীন ইত্যাদি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক পর্ষদের সদস্যসহ উপাচার্য নির্বাচিত সিনেটের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছিল। প্রায় সকল সদস্য বহু আগেই মেয়াদোত্তীর্ণ হলে তারা এখনো স্বপদে বহাল রয়েছে যা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের পরিপন্থি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে একাধিকবার অবহিত করা হলেও তিনি শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন আয়োজন করা ছাড়া অন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নি।

আরও উল্লেখ করা হয় যে, অধ্যাদেশের ২২(১) এফ ধারা অনুযায়ী ২০১৭ সালে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া সিনেট সদস্যদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ একটি নৈতিক অবক্ষয়ের প্রমাণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং কর্মকর্তাদের নৈতিক অবক্ষয়কে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানযোগ্য অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি-নির্ধারণী পর্ষদের এই নৈতিকতা বিবর্জিত কর্মকাণ্ডের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণ, নিপীড়নীয় এবং মাদক ব্যবসায়ীদের অভয়ারণ্য বেড়েছে। এরূপ সিন্ডিকেটের গৃহীত সিদ্ধান্তের প্রতি অসম্মানের ফলেই বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রগণের মধ্যে অপরাধীরা বসবাস করছেন। 

এতে আরও বলা হয়, এই অবস্থায় শিক্ষকগণের 'বৈধ প্রতিনিধিত্ব' নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে 'সকল ধরনের নতুন নিয়োগ' বন্ধ রাখতে হবে। অন্যথায়, 'অবৈধ সিন্ডিকেট সভা' প্রতিহত করার মাধ্যমে ন্যায় প্রতিষ্ঠার পথ নিশ্চিত করা হবে। এছাড়াও, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিভিন্ন বিভাগ, অফিস ও আবাসিক হলে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়াতে সংহতি না করার ফলে ধর্ষণ, মাদক সহ নানান নিপীড়ন লাগামহীন ভাবে বেড়ে চলেছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশকে সমুন্নত রেখে দাবি জানাচ্ছি যে মেয়াদোত্তীর্ণ সকল পর্ষদ নির্বাচনের প্রক্রিয়াটি সুস্পষ্ট ও দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে।

স্মারকলিপিতে শিক্ষক ঐক্য পরিষদের পক্ষে স্বাক্ষর করেন মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার, ছালেহ আহম্মদ খান, ড. মো. আবদুর রব, মো. মনোয়ার হোসেন, ড. মো. মোতাহার হোসেন, ড. সোহেল আহমেদ, ড. মোহাম্মদ রায়হান শরীফ, ড. খো. লুৎফুল এলাহি, মাসুদা পারভীন, ড. আইরিন আক্তার, ড. বোরহান উদ্দিন, মো. এনাম উল্লাহ, মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, মো. সোহেল রানা, মো. জামাল উদ্দিন,  মাসুম শাহরিয়ার।


সর্বশেষ সংবাদ