জাবিতে প্রক্টর-প্রাধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে মশাল মিছিল
- জাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:৪০ PM , আপডেট: ১০ মার্চ ২০২৪, ০১:১০ AM
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ধর্ষণের ঘটনায় সহায়তাকারী প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্টের অপরাধ তদন্তপূর্বক তাদের অপসারণসহ ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে পাঁচ দফা দাবিতে মশাল মিছিল করেছে নিপীড়নের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা প্ল্যাটফর্ম ‘নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ’।
শনিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশ থেকে এ মিছিল শুরু করা হয়। মিছিলটি পরিবহণ চত্বর, চৌরঙ্গী মোড় হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে অবস্থান নিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে গণরুম বিলুপ্তপূর্বক নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করা, নিপীড়ক মাহমুদুর রহমান জনির বহিষ্কারাদেশের প্রজ্ঞাপন জারি ও অফিস আদেশ প্রণয়ন করতে হবে এবং ইতঃপূর্বে যৌন নিপীড়ন সেলে উত্থাপিত সকল অমিমাংসিত অভিযোগসহ ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময়ে নানাবিধ অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনা এবং মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে জড়িতদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণাপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী কনৌজ কান্তি রায়ের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আগামীকালের সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান ও প্রাধ্যক্ষ সাব্বির আলমের অব্যাহতির দাবি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আলিফ মাহমুদ বলেন, র্যাবের প্রেস ব্রিফিং থেকে স্পষ্টভাবে জানা যায়, ক্যাম্পাসে ইতিপূর্বে অনেক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের দায়িত্ব অবহেলা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আগামীকালের সিন্ডিকেট সভায় প্রক্টর ও প্রাধ্যক্ষের অব্যাহতি দিতে হবে এবং তাদের অপরাধের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেখতে হবে ধর্ষণের ঘটনায় তাদের কোনো ইন্ধন ছিল কিনা। এছাড়া আমরা আশঙ্কা করছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এখনো যৌন নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনিকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। নয়তো তাকে বহিষ্কার করার পরও কেন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি তা আমাদের অজানা৷।
প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যে মাদক ও ধর্ষণের কারখানা তৈরি হয়েছে, সেখানে প্রক্টরের দায় রয়েছে। কিন্তু এখনো প্রক্টরকে স্বপদে বহাল রাখা হয়েছে। প্রক্টর একটি না একাধিক ধর্ষণ ও মাদকের ঘটনা ধামাচাপা দিয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য অসম্মানজনক।
সমাবেশে আন্দোলনকারীদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোস্তাফা ফিরোজ দেখা করতে আসেন। তাদের আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের অব্যাহতির দাবি জানান।
এ সময় উপাচার্য বলেন, ‘তোমরা দাবিগুলো জেনেছি। আমি বিষয়গুলো আগামী সিন্ডিকেটে আলোচনায় নিয়ে আসবো।’