ছাত্রীদের আবাসন সংকট নিরসনে উদ্যোগ ঢাবি প্রশাসনের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) নারী শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনের জন্য আড়াই থেকে তিন হাজার আসন সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিনটি নতুন ভবন তৈরির জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাবির নবনিযুক্ত উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার তার নিজ কার্যালয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের প্রতিনিধিকে এ তথ্য জানান।
জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট হল রয়েছে ১৯টি। এর মধ্যে ছাত্রদের জন্য রয়েছে ১৪টি এবং ছাত্রীদের জন্য রয়েছে ৫টি। হলের আকৃতি বিবেচনায় রোকেয়া হল ছাড়া অন্য চারটি হল ছেলেদের হলগুলোর তুলনায় অনেক ছোট। এছাড়া এসব হলগুলোতে রয়েছে আরও নানা সমস্যা।
এর আগে নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, গত তিন বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর ৫২ শতাংশই ছাত্রী। উপাচার্যের দেয়া এ তথ্য অনুযায়ী ঢাবিতে মোট শিক্ষার্থী সংখ্যায় ছাত্রীর সংখ্যা বেশি হলেও তাদের জন্য হল রয়েছে ছাত্রদের তুলনায় অনেক কম। ফলে অনেক ছাত্রী আবাসন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে
এরই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘদিন ধরেই হলে আবাসন সংকট নিরসনের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরা। বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও নেওয়া হয়নি কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা। তবে বাজেট পেলে হল সংস্কার ও নতুন হল তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার।
তিনি বলেন, আমাদের নারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা মোট শিক্ষার্থীর ৫২ শতাংশ। সে তুলনায় তাদের জন্য হল কম। আমরা মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়ে বিষয়টি অবগত করেছি। আমাদের আড়াই হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীর আবাসন তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে একটি অতিরিক্ত ভবন, শামসুন্নাহার হলে একটি অতিরিক্ত ভবন এবং আলাদা একটি হল তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।
ছেলেদের হল সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছেলেদের জন্য যে হল আছে সেখানে ছেলেদের পর্যাপ্ত আবাসন সুবিধা রয়েছে।