ইউজিসির তদন্ত কমিটি উপাচার্যের দুর্নীতির প্রমাণ: চবি শিক্ষক সমিতি

  © ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মেরিন সায়েন্সস এন্ড ফিশারিজ অনুষদের নতুন একাডেমিক ভবন উদ্বোধনের ব্যয় ও বিতর্কিত শিক্ষক নিয়োগ সম্পর্কিত প্রশাসনের বক্তব্য সন্তোষজনক নয় জানিয়ে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এ তদন্ত কমিটি গঠনকে চবি উপাচার্যের দুর্নীতির প্রমাণ বলে মনে করছে চবি শিক্ষক সমিতি। 

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠি থেকে বিষয়টি জানা যায়।

৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে আহ্বায়ক ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, এছাড়া সদস্য করা হয়েছে ইউজিসির পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব), অর্থ ও হিসাব বিভাগের জনাব রেজাউল করিম হাওলাদার ও ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপ-পরিচালক মো. গোলাম দস্তগীর। 

চিঠিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদের একাডেমিক ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৪৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ব্যয় সংক্রান্ত বিষয়সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা এবং আইন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম শুরু করা যথার্থ ছিল কি-না সেবিষয়ে কমিশনের পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তব্য সন্তোষজনক নয় মর্মে প্রতীয়মান হয়। 

ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, উপরোক্ত দুটি বিষয়সহ সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়ম সম্পর্কিত খবরের বিষয় তদন্তপূর্বক কমিশন কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নিম্নবর্ণিতভাবে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো।

এবিষয়ে জানতে চাইলে চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, আমরা যে দীর্ঘদিন ধরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছি তার যথার্থতা প্রমাণ করে ইউজিসির এই চিঠি। ইউজিসি থেকে যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এটা থেকে বুঝা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির মধ্য দিয়ে চলছে।

চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নুর আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, আমি এই বিষয়ে অবগত নই। আমি মিটিংয়ে ছিলাম। আমি আপনার কাছ থেকে এটা জানলাম। না জেনে এই বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর উদ্বোধন খরচের ব্যয়বিবরণী চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। পরে ২৪ ডিসেম্বর এ চিঠির জবাব দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেখানে চবি কর্তৃপক্ষ জানায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজের উদ্যোগেই এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে সাজসজ্জা, আপ্যায়ন, প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণসহ নানা আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য প্রকল্প ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি, ফাইন্যান্স কমিটি এবং সিন্ডিকেটের অনুমোদনক্রমে উক্ত অনুষ্ঠান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির মাধ্যমে এই ব্যয় নির্বাহ করা হয়েছে। এছাড়া প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও বাংলা ও আইন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়েও জানতে চেয়ে চিঠি দেয় ইউজিসি। 


সর্বশেষ সংবাদ