চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
বাবুর্চির অণ্ডকোষে লাথি মেরে হাসাপাতালে পাঠালেন ছাত্রলীগের দু’নেতা
- চবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৮ PM , আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৩০ AM
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাহ আমানত হলের বাবুর্চি আব্দুল আলীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের একপক্ষের নেতা মোরশেদুল আলম রিফাত ও সিএফসির নেতা আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে ওই হলের ডায়নিংয়ে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় বাবুর্চি আব্দুল আলীকে বেধড়ক মারধরের পাশাপাশি তার অণ্ডকোষেও লাথি মারেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী নিজেই। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ভুক্তভোগী আব্দুল আলীর সহকর্মীরা জানান, ছাত্রলীগের আরিফুল নামের একজন ও তার সাথে থাকা আরও কয়েকজন একটি মুরগী রান্না করছিলো। পেঁয়াজ ও মরিচের দাম একটু বেশি হওয়ায় আব্দুল আলী বলে আপনারা একটু কিনে আনলে ভালো হয় যেহেতু এগুলোর অনেক দাম। একথা বলার সাথে সাথে তার পুরুষাঙ্গে লাথি ও কিল-ঘুষি মারতে থাকে আরিফুল ও তার সাথে থাকা কয়েকজন।
তারা বলেন, বর্তমানে আব্দুল আলীর অবস্থা এখন এমন যে সে ঠিকমতো নিশ্বাসও নিতে পারছে না। আমরা তাকে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে নিয়ে এসেছি।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আব্দুল আলী বলেন, ডাইনিংয়ে কিছু ছাত্র রান্নাবান্না করছিল। সে সময় তারা আমার কাছে আদা-রসুন চায়। আমরা সাধারণত এগুলো তাদেরকে দিয়ে থাকি। এছাড়াও তারা চাইলে রান্নার কাজেও সহযোগিতা করি। আদা-রসুন চাইলে আমি তাদেরকে বলি যে ফ্রিজে আদা-রসুন পিষা আছে এগুলো নেন সমস্যা নাই কিন্তু বাকি জিনিসগুলো আপনারা কিনে নিয়ে আসলে তো পারেন।
“এ কথা বলার পরপরই একটা ছেলে আমার অণ্ডকোষে লাথি মারেন। সেখানে তারা তিনজন আমার ওপর উপর্যুপরি আক্রমণ করে। পাতিলের ঢাকনা দিয়ে তারা বুকে ও পিঠে আঘাত করেছে। আমি এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেটারে চিকিৎসা নিচ্ছি। আমি ঠিকমতো নিঃশ্বাস নিতে পারছি না।”
তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত মোরশেদুল আলম রিফাত। তিনি বলেন, সেখানে একটু তর্কাতর্কি হয়েছে। এর বেশিকিছু হয়নি।
অপরদিকে অভিযুক্ত আরিফুল ইসলামকে ফোন করা হলে তার ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে শাহ আমানত হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক নির্মল কুমার সাহা বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। হলের গার্ড আমাকে বলেছেন। প্রক্টরের সাথে কথাও কথা হয়েছে। একজন হাউজ টিউটরকে বিষয়টি দেখাশুনার দায়িত্ব দিয়েছি। আমি আগামীকাল হলে গিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম শিকদার বলেন, আমরা বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। আমরা একটি ঝামেলায় আটকে আছি৷ এটি শেষ করে সে ব্যাপারে খোঁজ খবর নেব।