স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণ প্রজন্মকে ভূমিকা রাখতে হবে: ঢাবি উপাচার্য
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৪১ AM , আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৪৩ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য নতুন প্রজন্মের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেছেন, অসাম্প্রদায়িক ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণ প্রজন্মকে ভূমিকা রাখতে হবে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং বিজয় দিবসের তাৎপর্য’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী পারভেজ, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ অফিসার্স এসোসিয়েশন, তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি, চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়ন এবং শহিদ পরিবার কল্যাণ সমিতির নেতারা বক্তব্য দেন। রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। এজন্য তাদের পড়াশোনা করতে হবে। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন বঙ্গবন্ধু’র অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করছেন।
আরো পড়ুন: রাবির তিন গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন শিক্ষকরা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ডের কারণে অর্থনীতি ও সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর তুলনায় অনেক এগিয়ে গেছে। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
আলোচনা সভা শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।