ক্লাস শুরু হলেও ৩০৫ আসন ফাঁকা চবির, বেশি ‘এ’ ইউনিটে
২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বিভিন্ন অনুষদে এখনো ৩০৫ আসন ফাঁকা রয়েছে। শ্রেণি পাঠদান শুরু হলেও এসব আসনগুলো পূরণের উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন। সবচেয়ে বেশি আসন ফাঁকা রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটে। এসব আসনগুলো পূরণের দাবি জানিয়েছেন ভর্তিচ্ছুরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকায় দেখা যায়, বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদভুক্ত এ ইউনিটে খালি রয়েছে ১০৫ আসন। এছাড়া কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের বি ও বি১ ইউনিটে ৮৩, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের সি, সি১ ও সি২ ইউনিটে ৬৫, সমাজবিজ্ঞান ও আইন অনুষদের ডি ইউনিটে ৫২ আসন খালি। সে হিসাবে মোট খালি আসনের সংখ্যা ৩০৫টি।
এর আগে, গত ৮ অক্টোবর থেকে চলতি শিক্ষাবর্ষের শ্রেণি পাঠদান শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ক্লাস শুরুর আগে সর্বশেষ ৬টি মেধাতালিকার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হয়েছিল। সর্বশেষ ষষ্ঠ মেধাতালিকা প্রকাশিত হয় গত ২৩ সেপ্টেম্বর। এরপর চূড়ান্ত ভর্তি ও মাইগ্রেশনের তালিকা দেওয়া হয় ৩০ সেপ্টেম্বর।
আরও পড়ুন: ভর্তি পরীক্ষার পাঁচ মাসেও পাঠদান শুরু করতে পারেনি জাবি
চূড়ান্ত এই তালিকা থেকে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়টির ৮টি ইউনিট ও উপ-ইউনিটে মোট আসন খালি রয়েছে প্রায় ৩ শতাধিক। তবে দেড় মাসের বেশি পেরিয়ে গেলেও ৭ম মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়নি। এ নিয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বিভাগগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ১০০ আসনের মধ্যে ভর্তি হয়েছেন ৭১ জন। নৃবিজ্ঞান বিভাগের মোট ১০৫ আসনের মধ্যে ভর্তি হয়েছেন ৫৯ জন। একই চিত্র উদ্ভিদবিজ্ঞান, মৃত্তিকাবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞানসহ অনেক বিভাগে।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির সচিব ও অ্যাকাডেমিক শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার এমএম আকবর হোছাইন বলেন, ৭ম তালিকার ব্যাপারে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। মিটিং না হলে বলা যাচ্ছে না। আর আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. খাইরুল ইসলাম বলেন, ভর্তি কমিটি মিটিং করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।