শিক্ষকদের যথাযোগ্য মর্যাদা প্রদানের আহ্বান
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:৫২ PM , আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:৫৮ PM
শিক্ষকতা পেশায় জড়িত শিক্ষকদের যথাযোগ্য মর্যাদা প্রদানের আহ্বান জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইআর) কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনার সভায় বক্তারা এই আহ্বান জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও আইইআরের অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নেয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল হালিম। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড.খাইরুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আশরাফ সাদেক, মাহবুব মোর্শদ, ড. অসীম দাস, ড. শেখ তাহমিনা আউয়াল প্রভাষক রাহুল চন্দ্র সাহা, প্রভাষক রোবেল আহমেদ, প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মামুন।
অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামান বলেন, আমাদের শিক্ষকরা আজকে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। শিক্ষকদের প্রয়োজনে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। তারাই আমাদের আলোর পথ দেখিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ৩০ দিন কাজ করে ৪৫ দিনের বেতন তোলেন পবিপ্রবি কর্মকর্তা
এসময় অধ্যাপক ড. আব্দুল হালিম বলেন, শিক্ষকদের প্রধান কাজই হচ্ছে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা দেওয়া। আর এই কাজটা শিক্ষকরা বিভিন্ন উপায়ে করে থাকেন। কাউকে শাসন করলেও তার মধ্যে অনুপ্রেরণা থাকে। আমাদের সমাজে শিক্ষকদের মর্যাদা হওয়া উচিত ছিলো সবার উপরে। কিন্তু আমরা আজও শিক্ষকদের সেই কাঙ্খিত মর্যাদা দিতে পারিনা। তাই আমাদের জাতি গঠেনের প্রয়োজনেই শিক্ষকদের যথাযথ মর্যাদা প্রদান করতে হবে।
অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, শিক্ষকরাও এই সমাজের মানুষ। তাদেরও কিছু চাওয়াপাওয়া রয়েছে। আর সেটা হচ্ছে তাদের শিক্ষার্থীরা ভালো স্থানে পৌঁছাবে। শিক্ষকদের সমালোচনা কিংবা প্রশংসা করলেও তাদের কাজ থেমে থাকেনা। আর সে কাজতি হচ্ছে শিক্ষার আলো জ্বালানো।
এদিকে শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বাদশা আলমগীর কিভাবে তার সন্তানকে শিক্ষকের পা নিজ হাতে ধুয়ে দেওয়ার উপদেশ দিয়েছিলেন সেই ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মরণ করেন ঢাবি শিক্ষক মোহাম্মদ আশরাফ সাদেক। এরপর সেই ঘটনার প্রতিরূপ হিসেবে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল হালিম এবং নেয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. অহিদুজ্জামানের পা ধোয়া পানি দিয়ে নিজ হাতে ধুয়ে দেন তিনি।