ড. ইউনূসের নোবেল পুরস্কার স্থগিতের আহবান ঢাবির সাবেক প্রক্টরের

অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী
অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী  © ফাইল ছবি

ড. ইউনূসের নোবেল পুরস্কার স্থগিতের আহবান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী। আজ সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ আহবান জানান তিনি। ড. ইউনূসের পক্ষে বিবৃতি দিয়ে ১৬০ জন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপ করেছেন দাবি করে এই ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি মানববন্ধনের আয়োজন করে।

মানববন্ধনে অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, ইতোমধ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাজস্ব মামলায় অপরাধী হিসেবে সাব্যস্ত হয়েছেন। প্রথমে তিনি এই রাজস্ব দেননি। পরবর্তীতে তিনি এই রাজস্ব দিতে বাধ্য হয়েছেন। যেহেতু আমাদের রাষ্ট্রিয় আইনে তার বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং শ্রম আইনে যেহেতু তার বিচারপ্রক্রিয়া চলছে তাই নোবেল কমিটির কাছে আমাদের অনুরোধ, এই বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন সময়ে নোবেল পুরস্কারের সম্মানার্থে ড. ইউনূসের এই পুরষ্কার যেন স্থগিত করা হয়।

মানববন্ধনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, কিছু মানুষ যারা আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত, তারা যখন কোনও অন্যায় এবং দুর্নীতির পক্ষে অবস্থান নেন, তখন মানবতা লজ্জিত হয়। প্রতিটি সমাজেই কিছু মানুষ থাকেন, যারা নীতিজ্ঞান বিবর্জিত। অনেক সময় তারা নানা প্রলোভনের মুখে পড়ে অন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেন। এই ১৬০ জন মানুষ যারা বিচার প্রক্রিয়াধীন একটি বিষয় নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন, তারা নীতিজ্ঞান বিবর্জিত মানুষ।

উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, আমাদের বিচারব্যবস্থাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য ড. ইউনূস পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নোবেল বিজয়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। যারা বিবৃতি দিয়েছেন তারা সেই বিবৃতিটিকে পড়েছেন কি না একজন শিক্ষক হিসেবে আমার প্রশ্ন আছে।

অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর তিনি বলেছিলেন, নোবেল পুরস্কারের অর্থ তিনি গরিবদের জীবন মানে উন্নয়ন এবং শিক্ষার জন্য ব্যয় করবেন। আমার প্রশ্ন হলো, শিক্ষার জন্য তিনি কোন জায়গায় ব্যয় করেছেন। তিনি গরিব মানুষের জন্য এই টাকা দিয়ে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেছেন এমন নজির আমার জানা নেই।

মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভুইয়া, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জিয়া রহমান, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস ছামাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ