সিট বাণিজ্যের অভিযোগে জাবি ছাত্র ইউনিয়নকে শোকজ
ছাত্র ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) সংসদের বিরুদ্ধে সিট বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে জাবি সংসদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
রবিবার (২৩ জুলাই) ছাত্র ইউনিয়নের সহকারী সাধারণ সম্পাদক লাভলী হক স্বাক্ষরিত একটি চিঠির মাধ্যমে তিন দিনের মধ্যে তাদের কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আগে, গত ৮ জুন একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে ‘এক হলেই ৪০টি আসন চাইলেন ছাত্র ইউনিয়ন নেতা’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। যেখানে বলা হয়, ছাত্র ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমর্ত্য রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে ৪০টি সিট নিয়ে দেনদরবার করেছেন।
বিষয়টি প্রকাশ্যে প্রক্টর নিজেও তুলে ধরেন। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ হয়। বিষয়টি নিয়ে ক্যাম্পাসে নিন্দার ঝড় ওঠে। যদিও পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলন করে প্রকাশিত সংবাদে হল প্রভোস্ট ও প্রক্টরের বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বামপন্থী গোষ্ঠীর গণরুমবিরোধী অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা বলে অভিহিত করে ছাত্র ইউনিয়নের জাবি সংসদ।
আরো পড়ুন: কুবি শিক্ষকের মৃত্যুতে অবহেলার অভিযোগ তুললেন শিক্ষার্থীরা
এ ঘটনায় বিতর্কের জেরে এবার বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাল ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটিও।কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়, বেশ কিছু দিন যাবৎ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিট বাণিজ্যের সাথে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ততা লক্ষ্য করছি। যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও সংগঠনের সাত দশকের লড়াইকে ক্ষুণ্ণ করার সামিল। এ বিষয়ের ভিত্তিতে আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে যথোপযুক্ত কারণ ব্যাখ্যা করার নির্দেশ দেওয়া হলো।
ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমর্ত্য রায় বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটি দু'ভাগে বিভক্ত। যে অংশ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে তাদের সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা জাবি সংসদ নিয়ে একটা ঝামেলা তৈরির জন্য এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করেছে। তবে এটি উল্লেখ্য যে অফিশিয়ালি চিঠিটি তারা পাঠায় নি। আমি অন্য একটি মাধ্যম থেকে এটি পেয়েছি।
ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি ইমতিয়াজ অর্ণব বলেন, এরকম কোনো কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদ পেয়েছে বলে আমার জানা নেই। এদিকে এ নোটিশকে আভ্যন্তরীণ আখ্যা দিয়ে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি দীপক শীল।
তবে তিনি বলেন, ছাত্র ইউনিয়ন সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছিল। শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিল। আর আমাদের কারো বিরুদ্ধে এমন প্রশ্ন ওঠাটা খুবই অস্বাভাবিক। আমরা বিশ্বাস করি অভিযোগটি সত্য নয়। তবে যেহেতু একটি অভিযোগ উঠেছে, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। যদি এমন কোনো ঘটনার সঙ্গে ছাত্র ইউনিয়নের কেউ জড়িত হয়। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ব্যাপারে আমরা জিরো টলারেন্স অবস্থানে রয়েছি।