জাবিতে গেস্টরুমে নির্যাতন: ৮ ছাত্রলীগ নেতার নামে হত্যাচেষ্টা মামলা

  © ফাইল ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের ৮ নেতার নামে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে। গত ১৬ ও ১৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সালাম-বরকত হলের গেস্টরুমে (অতিথি কক্ষ) ছাত্রলীগের হাতে নির্যাতনের শিকার সায়েম হাসান সামি বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

জাবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাবরুক আল ইসলাম জোয়াদকে প্রধান আসামি করে আজ শনিবার (১৭ জুন) এ মামলা করা হয়। 

মামলার অন্য আসামিরা হলেন—আইন ও বিচার বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আকিব শাহরিয়ার সিজান, বাংলা বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কর্মী আসিফ হোসাইন (আকাশ), একই ব্যাচের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের কার্যকরী সদস্য তানভীর হাসান রাব্বি, পরিসংখ্যান বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাজ্জাদ কবির ও রাতুল রায় ধ্রুব, দর্শন বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিয়াদ, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মহিবুর আলম মৃন্ময়।

মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) তদন্তের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ১৪ আগস্টের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সামির আইনজীবী নাইমুল ইসলাম চৌধুরী। 

তিনি বলেন, ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩-এ মামলাটি করা হয়। পরবর্তীতে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত -৪-এ মামলাটি স্থানান্তর করা হয়। মামলার তদন্তসহ সামগ্রিক পরিচালনায় সহায়তা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে মামলার একটি কপি পাঠানো হয়েছে।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, এ ধরনের কোনো মামলার কপি আমি পাইনি।

নির্যাতনের ঘটনায় ভুক্তভোগী সামি ২২ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে বলা হয়, ১৬ মে কানে অস্ত্রোপচারের কারণে গেস্টরুমে না যাওয়ায় ভুক্তভোগী সামিকে মারধর করা হয়। পরদিন হল ছেড়ে দিতে চাইলে আবারও গেস্টরুমে ডেকে নিয়ে তাকে মারধর করেন অভিযুক্তরা। অভিযুক্ত আকিব মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ধরেন। নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয় দেওয়ায় অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে পকেটে ইয়াবা ও আগ্নেয়াস্ত্র ঢুকিয়ে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করেন।

মামলার প্রধান আসামি মাবরুর ইসলাম জোয়াদ বলেন, মামলার বিষয়ে জানি না। আমি একটা প্রোগ্রামে আছি। আপনি রিয়াদ ভাইসহ আরও সিনিয়র যারা আছেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

তবে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, আমি যতটুকু জেনেছি এটি একটি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা।


সর্বশেষ সংবাদ