তরুণ লেখক ফোরাম চবি শাখার মাসব্যাপী কর্মশালা সম্পূর্ণ
- চবি প্রদায়ক
- প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৩, ০৫:১৬ PM , আপডেট: ১৩ জুন ২০২৩, ০৫:১৬ PM
বাংলাদেশ তরুণ লেখক ফোরাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার মাসব্যাপী লেখালেখি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। আজ সোমবার (১২ জুন) দুপুর ১২টায় চবির সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. মুরাদ হোসেন ও তাওহীদা মাহমুদ আরিয়ানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফোরামের সভাপতি আকিজ মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে মূল আলোচক ছিলেন বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ও গবেষক মোহাম্মদ শামসুল হক, র্যাংকন রিয়েল এস্টেট এন্ড সি ফিসিং ডিভিশন এর সিইও তানভীর শাহরিয়ার রিমন, গ্লোবাল এন্টারপ্রেনারশিপ নেটওয়ার্ক এর কান্ট্রি ডিরেক্টর কেএম হাসান রিপন এবং ভারতের অ্যাডামস বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল আনু চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সিরাজ উদ-দৌল্লাহ, লেখক ফোরামের উপদেষ্টা ও বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শেখ সাদী, ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সভাপতি মো. সাখাওয়াত হোসেন।
আরও পড়ুন:৬০ বছরে দায়িত্ব না ছাড়লে প্রধানদের অবসর-কল্যাণ সুবিধা বাতিল
তানভীর শাহরিয়ার রিমন বলেন, লেখালেখি একটি অসাধারণ দক্ষতা। তবে এটা চর্চার বিষয়। চর্চার মাধ্যমেই এ দক্ষতা বাড়ে। আমি অনেকবছর ধরে লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত। বিভিন্ন পত্রিকা, ম্যাগাজিনে আমি লিখেছি। শুধুমাত্র চর্চা অব্যাহত রাখায় আমার বই বেস্টসেলারের তালিকায় স্থান পায়।
কেএম রিপন হাসান বলেন, তরুণদের উচিৎ সৃজনশীল কাজে যুক্ত থাকা। যারা ভাবছেন চ্যাট জিপিটি এসে তরুণদের সৃজনশীল কাজের ক্ষেত্র কমিয়ে দিচ্ছে, তারা ভুল ভাবছেন। গুগল আসার পরও আমাদের ধারণা ছিল এটি বিশ্বকে সংকট ফেলবে। অথচ গুগল ছাড়া এখন আমরা কিছু চিন্তা করতে পারি না। পরিবার থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বড় ভূমিকা পালন করা যায় লেখালেখির মাধ্যমে। সমাজে সচেতনতা বাড়াতে লেখার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানটিতে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চবি লেখক ফোরামের উপদেষ্টা অলিউর রহমান, রেজাউল করিম সিকদার ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক জাহিদুল করিম সিকদার বাপ্পি এবং রোটারেক্ট জেলা সংগঠনের সচিব ওয়াহেদ মুরাদ।
অনুষ্ঠানে বছরের সেরা লেখক ক্যাটাগরিতে ৩ জন, সেরা সংগঠক ৩ জন, বিদায়ীদের সংবর্ধনা ৩ জন, কার্যনির্বাহী কমিটি ১৫ জন, মাসিক সেরা লেখক ৩০ জন, অরগানাইজার অ্যাওয়ার্ড ৩ জন, কর্মশালায় প্রশিক্ষণার্থী ৩০০ জন ও আমন্ত্রিত অতিথিদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
এর আগে চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত চলে মাসব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা। ১৫ জুন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক সমাপনী হয়।