‘এই দোহা তুই’ বলে রাবি অধ্যাপকের দিকে তেড়ে আসেন এক সহকর্মী

  © লোগো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) অধ্যাপক ড. এ. কে. শামসুদ্দোহাকে ‘এই দোহা তুই’ বলে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অপর এক সহকর্মীর বিরুদ্ধে। একই ইনস্টিটিউট পরিচালকের সামনেই এ ঘটনা ঘটেছে।

আজ বুধবার (২৪ মে) দুপুর ১টায় ইনস্টিটিউট কমিটির ৭৫তম মূলতবি সভায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শিক্ষক হলেন অধ্যাপক ড. মোহাঃ গোলাম আরিফ।

ঘটনার পর তুই-তুকারি, হুমকি-ধামকি ও অসদাচরণের প্রতিকার চেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ একাডেমিক কমিটি ও পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক অধ্যাপক ড. এ. কে. শামসুদ্দোহা।

অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ইনস্টিটিউট কমিটির ৭৫তম মূলতবি সভায় সভাপতির অনুমতি নিয়ে বক্তব্য পেশ করছিলেন ভুক্তভোগী অধ্যাপক। বক্তব্য দীর্ঘায়িত হওয়ায় ড. মোহাঃ গোলাম আরিফ উপস্থিত সদস্যদের সামনে তার আসন থেকে লাফ দিয়ে উঠে চিৎকার করেন এবং দেরি হওয়ায় তার উপর ক্ষিপ্ত হন। 

পরে ‘এই দোহা তুই’ বলে ভুক্তভোগী শিক্ষকের দিকে তেড়ে আসেন এবং বিভিন্ন ধরণের অসম্মান ও অসৌজন্যমূলক কথাবার্তা বলেন। এক পর্যায়ে আঙ্গুল উচিয়ে হুমকি-ধামকি প্রদান করেন। এসময় উপস্থিত সবাই এমন কর্মকাণ্ডের সাক্ষী বলে অভিযোগ পত্রে লিখেন তিনি। পরে সভার কার্যক্রম বন্ধ করে দেন পরিচালক। 

তবে অতীতেও সভায় বসে যৌক্তিক কথা ছাড়া অহেতুক হুমকি-ধামকি দিয়ে সভার পরিবেশ নষ্ট করেছেন বলে অনেক অভিযোগ আছে এ শিক্ষকের নামে। এ ব্যাপারে বহুবার তাকে এ ধরণের আচরণ না করার জন্য হুশিয়ারি প্রদান করেছেন ইন্সটিটিউটের পরিচালক যা একাডেমিক কমিটির কার্যবিবরণীতে লিপিবদ্ধ করা আছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী অধ্যাপক ড. এ.কে. শামসুদ্দোহা বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ডের প্রতিকার, পুনরাবৃত্তি রোধ ও সভার শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি আমার অভিযোগের সঠিক বিচার আমি পাব।

এদিকে ঘটনার পুরো বিষয়টিকে অস্বীকার করে অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাঃ গোলাম আরিফ বলেন, তাকে (ভুক্তভোগী) কোনও তুই-তুকারি ও হুমকি ধামকি করা হয়নি। তার বক্তব্য দেরি হওয়ায় আমার বিরক্ত লাগছিল। আমি চলে যাব ভেবে উঠছিলাম কিন্তু আমার উঠা দেখে ড. এ.কে. শামসুদ্দোহা হুমকি-ধামকি দিচ্ছিল। এর আগেও তিনি আমার নামে অনেক বিষয়ে অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু সেসব অভিযোগের কোনও সত্যতা পায়নি একাডেমিক কমিটি।

তবে এ বিষয়ে একাধিকবার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি ইনস্টিটিউটটির বর্তমান পরিচালক অধ্যাপক ড. জিন্নাত আরা বেগমের।


সর্বশেষ সংবাদ