২০ মে ২০২৩, ১২:৩০

ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ৭৮-৭৯ সেশনের পুনর্মিলনী

ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ৭৮-৭৯ সেশনের পুনর্মিলনী  © টিডিসি ফটো

উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১৯৭৮-৭৯ ফোরাম ''ভুপস" এর বার্ষিক সাধারণ সভা ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১৯ মে, ২০২৩) সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডি ৪ নম্বর রোডের ১১ নং বাড়ীতে এ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। এসময় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

উৎসব মুখর এই সাধারণ সভা ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১৯৮১ সালের অনার্স এবং ১৯৮২ সালের মাস্টার্স ব্যাচের প্রায় শতাধিক প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করেন। এ অনুষ্ঠানে এসে তারা এক দিনের জন্য ৪০ বছর আগের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ফিরে যান তার, মেতে উঠেন বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের রঙিন দিনগুলোর স্মৃতিচারণে। দীর্ঘ ৪০ বছর পর সহপাঠীদের সাথে দেখা হওয়ায় আনন্দে আপ্লূত হন অনেকে। 

ফোরামের সভাপতি আবু মো. সবুরের সভাপতিত্বে ও মমতাজ শিবিল খুকুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এএসএম মামূনুর রহমান খলিলী, কোষাধ্যক্ষ নাসরিন সবুর কল্পনা, সহসভাপতি এ কে এম নূরুল আলম নান্টু এবং সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবুল ইসলাম শিকদার।

আরও পড়ুন: ঢাবি ইসলামের ইতিহাস বিভাগের পুনর্মিলনী ৮ফেব্রুয়ারি

এসময় সাধারণ সম্পাদক মামূনুর রহমান খলিলী বলেন, এর আগে আমাদের বেশ কয়েকটি গেট টুগেদার হয়েছিল কিন্তু সবাইকে একত্র করতে পারিনি। আজকের প্রোগ্রামে অনেকেই এসেছেন। আমরা এই সংগঠনের মাধ্যমে শুধু গেট টুগেদারই করব না বরং আমাদের বন্ধু-বান্ধবদের বিপদে এগিয়ে আসব। এছাড়া আমরা সামজিক বিভিন্ন কাজেও অবদান রাখার চেষ্টা করব।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের নানা বিষয়ে স্মৃতিচারণ করে সভাপতি আবু মো. সবুর বলেন, সেদিনগুলোতে দূর দূরান্ত থেকে আসা বন্ধু-বান্ধবদের সাথে মেশার কারণে আমাকে অনেকে অনেক কথা বলব। কিন্তু কারো কথায় কান না দিয়ে আমি বন্ধু-বান্ধবকে আপন করে নিয়েছিলাম। যখন কেউ কোনো হেল্প চাইতো তাৎক্ষণিক চেষ্টা করতাম সর্বোচ্চটা করতে। তাই তো আজও মনে পড়ে সেই রতনের কথা। কারণ আমি তার লাশ নিয়ে তার বাড়িতে গিয়ে নিজ হাতে তাকে দাফন করেছি। আজও সেই বন্ধু-বান্ধবের মাঝে বেঁচে থাকতে চাই। 

পুনর্মিলনীর দ্বিতীয় পর্বে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। "কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই", "পুরোনো সেই দিনের কথা বলবি কিরে হায়" ইত্যাদি গানে গানে স্মৃতি রোমন্থন করেন তারা।