অস্ত্র ঠেকিয়ে ঢাবি শিক্ষার্থীর মোবাইল ছিনতাই, মুখে রামদার কোপ
অস্ত্র ঠেকিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীর মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ফয়সাল আহমেদ নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীকে রামদা দিয়ে আঘাত করে ছিনতাইকারীরা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রামদায়ের আঘাতে শ্বাসনালী কেটে যাওয়া থেকে অল্পের জন্য বেঁচে যান ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী।
গত ২৮ এপ্রিল (শুক্রবার) রাত ১০টায় মোহাম্মদ লালমাটিয়া মহিলা কলেজের সামনে বন্ধুর কাছে পাওনা টাকা আনতে যাওয়ার পথে এই হামলার শিকার হন তিনি। এ ঘটনায় ফয়সালের সঙ্গে থাকা তার বন্ধু শতাব্দী চক্রবর্তীরও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়া হয়। শতাব্দী লালমাটিয়া মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী।
আর ফয়সাল আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের হাজী মোহাম্মদ মুহসীন হলের অনাবাসিক শিক্ষার্থী। রামদার কোপে তার মুখের নিচের অংশে ৭টি সেলাই করতে হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করার পরে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে মোহাম্মদ থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে ছিনতাই: জড়িত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরাও
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ অভিযোগ করে বলেন ঘটনার পর পরই তিনি মোহাম্মদ থানায় গিয়ে একটি মামলা করেন। কিন্তু ডিউটি অফিসার এস আই অনিক উক্ত মামলা রেকর্ড করলেও মোবাইল ফোন উদ্ধার কিংবা অপরাধীদের ধরতে কোনো ধরনের চেষ্টা করছেন না। আশেপাশে অনেক সিসিটিভি ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
তবে তদন্তে নিয়োজিত ওসি আবুল কালাম আজাদ ও এস আই নাজমুল ইসলাম এসব অস্বীকার করে বলেন, তদন্ত বেশ এগিয়েছে। নতুন আইও নিযুক্ত করে তদন্ত করা হচ্ছে। খুব দ্রত মূল আসামীকে গ্রেফতার করা হবে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ফয়সাল বলেন, গত ২৮ এপ্রিল রাত ১০:৩০ মিনিটে স্কয়ার হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে লালমাটিয়া মহিলা কলেজের পেছনে হঠাৎ করেই ৩ জন মোটরসাইকেল আরোহী ছিনতাইকারী এসে আমার মুখে রামদা দিয়ে কোপ দেয়। পরে আমার ফোন ছিনিয়ে নেয়।
তিনি বলেন, আমার সাথে আমার বন্ধু ছিল। ছিনতাইকারীরা তার ফোনও ছিনিয়ে নেয়। রাতেই মোহাম্মাদপুর থানায় অভিযোগ করি। ফোনে অনেক ইম্পর্ট্যান্ট তথ্য ছিল। রাতেই তাই আহত অবস্থায় থানায় যাই। সেখান থেকে আমাকে তারা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসা শেষে আমি বাসায় ফিরে আসি।
মোহাম্মদপুর থানার এস আই নাজমুল ইসলাম বলেন, আসলে তদন্তের বিষয়টি অভ্যন্তরীণ। ফলে এসব নিয়ে ভুক্তভোগীকে জানানো হয় না। তবে সে ঘটনার পরে থানায় আসার ১০ মিনিটের মধ্যে আমরা মামলা গ্রহণ করি। পরে তাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। এখন মামলার পরবর্তী কার্যক্রম চলমান রয়েছে।