জাবির ৫০ বছরের পুরোনো মীর মশাররফ হল ভেঙে ফেলার সুপারিশ
ভূমিকম্পের ঝুঁকি বিবেচনায় সাত দিনের মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ৫০ বছরের পুরোনো মীর মশাররফ হোসেন হল ভেঙে পুনর্নির্মাণের সুপারিশ করেছে রাজধানী নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।
এছাড়া পাঁচটি ভবন মেরামতের সুপারিশও করেছে রাজউক। মেরামতের সুপারিশ করা ভবনগুলো হলো- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পুরাতন কলাভবন, নতুন কলাভবন, কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ভবন। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) আরবান রেজিলিয়েন্সের প্রকল্প পরিচালক আবদুল লতিফ হেলালী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আবদুল লতিফ জানান, বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে রাজউকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্পের আওতায় করা ভূমিকম্প ঝুঁকি মূল্যায়ন বিবেচনায় এ সুপারিশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্কলারশিপে জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ, পড়া যাবে ১১ বিষয়ে।
আবদুল লতিফ হেলালী বলেন, আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্পের আওতায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১৩টি ভবনের র্যাপিড ভিজ্যুয়াল স্ক্রিনিং অ্যাসেসমেন্ট (আরভিএসএ), ৩৫টির প্রিলিমিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসেসমেন্ট (পিইএ) ও ১৩টির ডিটেইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসেসমেন্ট (ডিইএ) করা হয়। এর মধ্যে একটি ভবন ভেঙে পুনর্নির্মাণ ও পাঁচটি ভবন মজবুতকরণের মাধ্যমে ব্যবহার করার সুপারিশ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, ১ মার্চ ভবন ভাঙা ও মেরামত সংক্রান্ত একটি চিঠি আসে। কিন্তু চিঠিতে ভবনের সুনির্দিষ্ট নাম না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজউককে চিঠি পাঠানো হয়। পরে রাজউক থেকে পুনরায় আসা চিঠিতে সব কটির তালিকা না থাকায় চিঠি আবার পাঠাতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাজউক বলেছে সাত দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলতে। কিন্তু একটা ভবনতো সাত দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলা সম্ভব নয়। অনেক শিক্ষার্থী স্থানান্তরের বিষয় এখানে জড়িত। এবিষয়ে সিন্ডিকেটে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী আবদুস সালাম মোহাম্মদ শরিফ বলেন, রাজউকের দেওয়া প্রথম চিঠি তিনি পেয়েছিলেন। যেখানে ৩টি ভবন ভাঙা এবং ১০টি মজবুতকরণ করতে বলা হয়েছিল। পরে সংশোধিত চিঠি তিনি এখনো পাননি।
উল্লেখ্য, মীর মশাররফ হোসেন হল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার দুই বছর পর ১৯৭৩ সালে নির্মাণ করা হয়। সে হিসেবে এটি জাবির দ্বিতীয় হল। হলটি প্রতিষ্ঠাকালীন হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ হলের আবাসিক ছাত্র ছিল।