০২ মার্চ ২০২৩, ১৯:২৫

বছরে অর্ধকোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রক্টরিয়াল টিমের বিরুদ্ধে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসসহ আশপাশের এলাকায় তিন শতাধিক অবৈধ ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়ে বছরে অর্ধকোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে প্রক্টরিয়াল টিমের বিরুদ্ধে। অভিযোগ তদন্তে সাবেক সহকারী প্রক্টর মো. মাকসুদুর রহমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (০২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। তদন্ত কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- সহকারী প্রক্টর লিটন কুমার সাহা ও রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষক দিলারা জাহিদ। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি-রেজিস্ট্রার-প্রক্টরকে আদালতে তলব

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান প্রক্টরিয়াল টিমের কতিপয় সদস্যের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে প্রতিবেদন দিতে কমিটিকে অনুরোধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রক্টরিয়াল টিমের বিরুদ্ধে যেকোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ কমিটির কাছে পেশ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয়ের টোকেনম্যান শামীম হোসাইনের নেতৃত্বে প্রক্টরিয়াল টিম ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় তিন শতাধিক অবৈধ ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়ে বছরে অর্ধকোটি টাকার বেশি চাঁদা তুলে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে নির্ধারিত লাইন্সম্যানদের মাধ্যমে চাঁদার টাকা আদায় করা হয়।

প্রক্টর কার্যালয়ের সেকশন অফিসার মো. রেজাউল করিম, প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্য মো. জুয়েল, মাসদু রানা, হামিদুর রহমান, জহিরুল ইসলাম, মো. আবদুল্লাহ, মো. মিরাজ, মো. মেহেদী, আমিনুল ইসলাম, কৃষাণ, মো. সালাউদ্দিন ও মো. জাহিদ এই টাকার ভাগ পান।

আরও পড়ুন: যবিপ্রবি প্রক্টরের বিরুদ্ধে ঢাবি শিক্ষক ও খেলোয়াড়দের হেনস্থার অভিযোগ

প্রতিবেদন অনুযায়ী, লাইন্সম্যান হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফটকে আকরাম, কার্জন হলের উত্তর পাশের ফুটপাতে নুরুল ইসলাম, ক্যাম্পাসের ফুচকার দোকানে কাছে মো. কবির ও টিএসসি-সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ফটকে খোকা কাজ করেন। এ ছাড়া টিএসসি এলাকায় টোকেনম্যান শামীম হোসাইনের নিজের ছয়টি ভ্রাম্যমাণ দোকান রয়েছে।

প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত শামীমের অর্থ লেনদেনবিষয়ক কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড ফেসবুকে ফাঁস হয়েছে।