রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে এক ছাত্রীকে সাত দিন ধরে বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগে তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা এম. তারেক নূর।
তিনি বলেন, ‘ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সহপাঠিরা মঙ্গলবার বিকালে একটি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে। আমি দুই পক্ষের বক্তব্য শুনেছি। অভিযোগের ভিত্তিতে আপাতত তাদের দুইজনকে দুইটি ব্লকে রাখার জন্য হল প্রাধ্যক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, অভিযোগের ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাদেরকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট আমাদের হাতে আসলে সেটা আমরা শৃঙ্খলা কমিটির কাছে পাঠাবো।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে পানি গরম করাকে কেন্দ্র করে এক ছাত্রীকে এক সপ্তাহ ধরে বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে দোলন নামের এক সিনিয়র শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: হলে পানি গরম করাকে কেন্দ্র করে নির্যাতন, হাসপাতালে ভর্তি ছাত্রী
মঙ্গলবার নির্যাতন সইতে না পেরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে গেলে পরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেকে) ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি রামেকের ১৫নং ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হলেন সুমাইয়া সুলতানা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অন্যদিকে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী নুরুন্নাহার দোলন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী।
তদন্ত কমিটির বিষয়ে ছাত্র উপদেষ্টা এম. তারেক নূর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুল ইসলাম খানকে আহ্বায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের আবাসিক শিক্ষক ড. মনিকৃষ্ণ মহন্ত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. সাইকা কবীর নীতু।