বিকেল ৩টায় শুরু জাবির ৬ষ্ঠ সমাবর্তন, অংশ নেবেন ১৫ হাজার গ্র্যাজুয়েট
আজ শনিবার (২৫ নভেম্বর) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ সমাবর্তন। বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবর্তনের মূল অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন ১৫ হাজার ২২৩ জন গ্রাজুয়েট।
সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সভাপতিত্বে বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেবেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
এবারের সমাবর্তনে স্বর্ণপদক দেওয়া হবে ১৬টি। যার মধ্যে স্নাতক পর্যায়ে ৮ জনকে ‘আসাদুল কবীর স্বর্ণপদক', স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ৭ জনকে ‘শরফুদ্দিন স্বর্ণপদক' এবং স্নাতকোত্তর ক্যাটাগরিতে দর্শন বিভাগের সর্বোচ্চ ফলাফলপ্রাপ্ত একজনকে ‘মোফাসসিল উদ্দিন আহমেদ ট্রাস্টফান্ড স্বর্ণপদক' প্রদান করা হবে। এছাড়া সমাবর্তনে ২৮০ জনকে পিএইচডি ও ৩৪ জনকে এমফিল ডিগ্রি দেওয়া হবে।
সমাবর্তন উপলক্ষে পুরো ক্যাম্পাসে সাজ সাজ রব। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু করে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে সমাবর্তনের ব্যানার টানানো হয়েছে। বিভিন্ন অনুষদের প্রবেশপথ নতুন করে রঙ-আলপনায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। শহীদ মিনারসংলগ্ন প্রধান সড়ক এবং ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোর পাশে গাছের বেদি মেরামত ও ফুলগাছের চারা রোপণ করা হয়েছে।
দীর্ঘ ৮ বছর পর সমাবর্তন পাওয়ায় গ্রাজুয়েটদের হাস্যোজ্জ্বল পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠেছে পুরো ক্যাম্পাস। গাউন পরে, মাথায় হ্যাট লাগিয়ে সমাবর্তনের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন গ্র্যাজুয়েটরা। একে অপরের সাথে ছবি তুলছেন। কেউবা অনেক যত্নে বাবা মাকে পরিয়ে দিচ্ছেন গাউন। কেউ আবার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতি খুঁজে ফিরছেন শহীদ মিনার, টিএসসি, ক্যাফেটেরিয়া,মুরাদ চত্বর,বটতলা, ট্রান্সপোর্ট, লেকের পাড় সহ নানা জায়গায়।
আরও পড়ুন: ৭ মার্চ উদযাপনে বরাদ্দ ৩ কোটি ১২ লাখ টাকা।
সমাবর্তন প্রত্যাশী গ্রাজুয়েট ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী এনামুল হাসান তার অনুভুতি জানিয়ে বলেন, দীর্ঘদিন পর আমরা সমাবর্তন পাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে এটা আমাদের জন্য আনন্দের এবং গর্বের। তবে এই সমাবর্তন আরও কম সময়ের মধ্যে করা উচিৎ।
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফারহানা মিমি বলেন,পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে এক উৎসবের আমেজ চলছে। ক্যাম্পাসের সিনিয়র জুনিয়র সবার সঙ্গে দেখা হচ্ছে। অনেকদিন পর সবাইকে একসঙ্গে দেখতে পেয়ে ভীষণ ভালো লাগছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম বলেন, ‘উপাচার্যের দায়িত্ব পাওয়ার পর সমাবর্তন আয়োজনের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তা বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। আমি আমার প্রতিশ্রুতি রাখতে পেরেছি। এই সমাবর্তনে আমার সন্তানও আছে । সব মিলিয়ে অনেক ভালো লাগছে। সুন্দর ও সুষ্ঠু আয়োজনে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’
প্রসঙ্গত, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২ বছরে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে মাত্র পাঁচবার। সর্বশেষ ২০১৫ সালে পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। সেবার এম.ফিল ও পিএইচ.ডি ডিগ্রিধারী সহ ৯ হাজার গ্র্যাজুয়েট সমাবর্তনে অংশ নেন।