জানালা খুললেই হল রুমের দিকে ধেয়ে আসছে লাখ লাখ মশা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মশার উৎপাত বেড়ে যাওয়ায় মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যার পর আবাসিক হলসহ ক্যাম্পাসের সর্বত্র চোখে পড়ছে মশার উপদ্রব। পড়ার টেবিল থেকে শুরু করে ডাইনিং, বেডরুম, হোটেল-রেস্তোরাঁ, শ্রেণিকক্ষ ও খেলার মাঠসহ সর্বত্র মশার বিচরণ। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, মশার উপদ্রবে তারা দিনের বেলাতেও হলের জানালা খুলতে পারছেন না।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্যাম্পাস ও হলের আশপাশের ঝোঁপঝাড়, জঙ্গল, ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে তারা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা। মশার অতিষ্ঠে পড়ার টেবিলে বসে পড়াশোনাও করতে পারছেন না। মশার উৎপাত বাড়লেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ তাদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন ও আবাসিক হলগুলোর আশপাশের ডোবা-নালা, ঝোঁপ-জঙ্গল, নর্দমার পচা পানি ও ড্রেনগুলো অব্যবস্থাপনার মধ্যে রয়েছে। এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করার কারণে খুব সহজেই মশা বংশ বিস্তার করে চলেছে। দেখা মিলছে ঝাঁক ঝাঁক মশার লার্ভা।
আরও পড়ুন: নিজ বাসা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রের লাশ উদ্ধার, গলায় আঘাতের চিহ্ন
সোহরাওয়ার্দী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মারুফ বিন মাঈনুল পিয়াস দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, হলে মশার উৎপাতে থাকা যাচ্ছে না। জানালার পাশে বড় বড় জঙ্গল হয়েছে। জানালা খুললেই লাখ লাখ মশা রুমের দিকে ধেয়ে আসে। দিনের বেলাতেও মশার অত্যচারে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। মশার উপদ্রবে রাতে এমনিতেই মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হয়। কিন্তু এই উপদ্রব এতোটাই বেশি যে, পড়াশোনা করাও দায় হয়ে পড়েছে।
মাদার বখশ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী পলাশ হোসেন বলেন, মশার উপদ্রব এতো বেশি যে, সন্ধ্যার পর কক্ষে বসে একটু পড়ারও উপায় নেই। মশার অত্যাচারে মস্তিষ্কে এক ধরনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে। হলের ড্রেনগুলোতে বেশ ময়লা জমে থাকে। এগুলো পরিষ্কার করা না হওয়ায় মশার উপদ্রবও খুব বেশি।
বেগম খালেদা জিয়া হলের আরেক শিক্ষার্থী পূজা রানী বলেন, আমার পরীক্ষা চলছে। কিন্তু মশার উপদ্রবে পড়াশোনায় মনোযোগ বসাতে পারছি না। হলের ভেতরে ও ক্যাম্পাসের যেকোনো জায়গায় মশার অতিষ্ঠে বসাও দায় এখন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, মশা নিধনের জন্য আমরা দুটি ফগার মেশিন কিনেছি। মশক নিধনের ওষুধ সরবরাহের জন্য রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। যতদ্রুত সম্ভব মশক নিধনের জন্য অভিযান শুরু হবে।