‘জগদীশ চন্দ্র বসু একজন অন্তর্মুখী ও উজানের মানুষ ছিলেন’

অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার
অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার   © টিডিসি ফটো

‘জগদীশ চন্দ্র বসু একজন অন্তর্মুখী ও সবসময় উজানের মানুষ ছিলেন। তাঁকে প্রেরণা যুগিয়েছেন সবসময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। জগদীশ চন্দ্রের মৃত্যুতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অত্যন্ত ব্যথিতও হয়েছিলেন। তিনি প্রয়াত, আর ফিরে আসবেন না। তিনি তাঁর কর্মের মাধ্যমে যা করে গেছেন সেসব দিয়েই তাকে জীবিত রাখার সাহস এবং সদিচ্ছা যেন আমরা রাখতে পারি; যেন আমরা আগামীতে বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্ম গড়তে পারি বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবনে প্রকৌশল অনুষদ গ্যালারিতে স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, বর্তমান শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানী হতে চায় না, তারা আমলা হতে পছন্দ করে। তারা বিসিএস কেন্দ্রিক পড়াশোনা করছে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আমাদের উদ্যোগী হতে হবে। আমরা এ বিষয়ে সম্প্রতি উদ্যোগও নিয়েছি। স্কুল পর্যায়ে বিজ্ঞানের ধারণা ছড়িয়ে দিতে কাজ করছি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান প্রদর্শনীর আয়োজনও করতে চাচ্ছি। এসময় তিনি এমন উদ্যোগ বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

আরও পড়ুন: অর্ধেক চিকিৎসক দিয়ে চলছে রাবি মেডিকেল সেন্টার, ভোগান্তি শিক্ষার্থীদের

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, আমরা সচরাচর গুণীজনদের সম্মান দেই না। যে দেশে গুণীজনদের সম্মান দেওয়া হয় না সে দেশে গুণীজনের জন্মও হয় না। আমাদের সে জায়গা থেকে সরে আসতে হবে। আমরা যদি স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর আদর্শ নিয়ে চলি, তাহলে আমরা অনেকদূর এগিয়ে যাবো।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফারজানা আসরাফি নীলা। আর সভাপতিত্ব করেন জীববিজ্ঞান অনুষদের অধিকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ শহিদুল আলম। জীববিজ্ঞান অনুষদ আয়োজিত এই আলোচনা সভায় স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর কর্মময় জীবন নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি অনুষদের দুই গুণী শিক্ষক এবং রাজশাহী ও নওগাঁর চার গুণী কৃষককে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংবর্ধনাপ্রাপ্তরা হলেন, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. মনজুর হোসেন, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আমিনুজ্জামান মো. সালেহ্ রেজা ও নওগাঁর কালীগ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম শাহ্, রাজশাহীর মনিরুজ্জামান মনির, নূর মোহাম্মদ এবং পার্নিমা বেগম। 

এসময় আরও বক্তব্য দেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবীর, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. মনজুর হোসেন, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এম নজরুল ইসলাম, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক গৌর পদ ঘোষ এবং সংবর্ধনাপ্রাপ্ত দুই গুণীজন তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন এ অনুষ্ঠানে।


সর্বশেষ সংবাদ