‘পরিবর্তন নয়, উপাচার্যকে আইনের শাসনে দায়বদ্ধ করাই আমার লক্ষ্য’
- চবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২২, ০৪:০৭ PM , আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২২, ০৪:৩৪ PM
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য এবং ডিনের মধ্যে বাকবিতন্ডার প্রেক্ষিতে সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া ডিন অধ্যাপক ড. হেলাল উদ্দিন নিজামী'র বক্তব্যে দেওয়ার পক্ষে প্রমাণ চেয়ে চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তিন কার্য দিবসের মধ্যে চিঠির জবাব দিতে বলা হয়। কিন্তু ডিন (১০ নভেম্বর) সাত দিন সময় চেয়ে পাল্টা চিঠি দেন প্রশাসনকে।
এতে তিনি বলেন, গত ৬ নভেম্বর তারিখ ছুটিতে থাকার কারণে ৮ নভেম্বরে আপনার ইস্যুকৃত চিঠি আমার হস্তগত হয়েছে। চিঠির বর্ণিত বিষয়ে বক্তব্যের স্বপক্ষে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্যে তিন (০৩) কর্মদিবস সময় যথেষ্ট নয়। অতএব, আত্মপক্ষ সমর্থন এবং প্রমানসহ তথ্য উপস্থাপনের জন্যে আমার অন্তত: আরো সাত কর্মদিবস সময় প্রয়োজন। আশা করছি বর্ণিত সময়সীমা ২১ নভেম্বরের মধ্যে প্রত্যাশিত জবাব পেয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন: টেবিল চাপড়ে ভিসি ডিনকে বললেন ‘বেয়াদব চুপ, বের হয়ে যান’
এবিষয়ে অধ্যাপক ড. হেলাল উদ্দিন নিজামী বলেন, আমি মনে করি যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ ইতোমধ্যে মিডিয়া গত এক বছরে পরিবেশন করেছে। ভাবছিলাম যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়গুলোকে আমলে নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের বক্তব্যগুলো যাচাই-বাছাই করতে ব্যবস্থা করে গ্রহণ করে আইনের শাসন নিশ্চিত করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, ছাত্র-শিক্ষকের স্বার্থ প্রতিষ্ঠা করতে উদ্যোগী হবে। কিন্তু দেখছি প্রশাসন আইনের শাসনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে৷ সিন্ডিকেটে শিক্ষক প্রতিনিধিদের পদশূন্য রেখে এক পেশে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। বিভিন্ন নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ বারবার প্রকাশিত হয়েছে। তাহলে কি আইনের শাসনের ব্যতয় ঘটেনি? উপাচার্য পরিবর্তন আমার লক্ষ্য নয়, উপাচার্যকে আইনের শাসনে দায়বদ্ধ করাই আমার লক্ষ্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক স্বার্থ রক্ষা করতে উপাচার্যকে আইনের শাসনে অভ্যস্ত করতে সহযোগিতা করতে চাই।
আইনের শাসনের প্রতি ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে প্রতিপক্ষ ভাবলে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সুখকর হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে সুস্পষ্টভাবে সকল মতের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাসন কাঠামো পরিচালিত হবে। কিন্তু সরকার কর্তৃক মনোনীত সদস্যদের দিয়ে সিন্ডিকেট পরিচালিত হচ্ছে, নেই কোনো শিক্ষক নির্বাচিত প্রতিনিধি। এটি সুশাসনের অন্তরায়, এটি আইনের শাসনের অন্তরায়। যা বিশেষ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য একটি নীলনকশা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এটি কোনো ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়৷