বছর শেষেও হয়নি ইউজিসির বার্ষিক প্রতিবেদন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৬ PM , আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০৫ PM
প্রতিবছর অক্টোবর নভেম্বরের দিকে দেশের উচ্চশিক্ষালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশের কাজ সম্পন্ন করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। সর্বশেষ ২০২২ সালের ৪৯তম বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তদারক সংস্থাটি। তবে জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর দেশজুড়ে বড় পরিবর্তনের হাওয়া লাগে ইউজিসিতেও। টালমাটাল অবস্থা কাটিয়ে নতুন কমিশন আসে। তবে কাজে বিঘ্ন ঘটায় ৫০তম বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশে বিলম্ব হওয়ার কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে সরকারি বেসরকারি ১৬০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কাজ করছে ইউজিসি। তবে ২০২৪ সালে যে-সব বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন পেয়েছে, তাদের তথ্যগুলো ২০২২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে আসবে না।
প্রতিবেদন তৈরির কাজের সাথে জড়িত একাধিক কর্মকর্তা জানান, এ বছর বার্ষিক প্রবেদন তৈরির কাজে বিলম্ব হওয়ার পেছনে ইউজিসির প্রশাসনিক রদবদল ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিবেদন প্রেরণে বিলম্ব হওয়া অন্যতম কারণ। আবার সম্প্রতি কমিশনে বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরির কাজ রিসার্চ সাপোর্ট এন্ড পাবলিকেশন ডিভিশন থেকে জনসংযোগ শাখায় হস্তান্তরের বিষয়ে আলোচনা চলছে। ফলে এই কাজটি শেষ হতে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত বিলম্ব হতে পারে।
ড. ফেরদৌস জামান বলেন, জুলাই বিপ্লবের আন্দোলনে বেশকিছু পরিবর্তন এসেছে। যার প্রভাব কমিশনেও পড়েছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়কে কয়েকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। এখনো বেশ কয়েকটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়নি। ফলে সামগ্রিকভাবে কাজে বিঘ্ন ঘটেছে। আবার সম্প্রতি ইউজিসির অভ্যন্তরীণ কিছু পরিবর্তনের বিষয়ে আলোচনা চলছে। যার ফলে প্রতিবেদন তৈরির কাজটি জনসংযোগ বিভাগের হাতে চলে যাবে। তবে প্রতিবেদন তৈরির কাজ শেষ হতে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
ইউজিসির রিসার্চ সাপোর্ট এন্ড পাবলিকেশন ডিভিশন সদস্য প্রফেসর ড. মাছুমা হাবিব বলেন, আমি মাত্র দায়িত্ব পেয়েছি। ফলে এই মুহূর্তে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারব না। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সাথে কথা বলে কাজটি বেগবান করার চেষ্টা করবো।