ন্যায়পাল নিয়োগ হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে

লোগো
লোগো  © ফাইল ছবি

বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ নিরপেক্ষভাবে প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন করে অবৈতনিক ন্যায়পাল নিযুক্ত করার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর। 

দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ন্যায়পালের ধারণাটি কার্যকর করা সম্ভব কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। তথ্য অধিকার আইন বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ইউজিসিতে বুধবার (০৫ জুন) এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ইউজিসির জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান। প্রশিক্ষণে দেশের ২৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরটিআই ফোকাল পয়েন্ট/বিকল্প ফোকাল পয়েন্টসহ ইউজিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।

অধ্যাপক আলমগীর বলেন, পরিচয় প্রকাশ হওয়ার ভয়ে অনেক ভুক্তভোগী অভিযোগ করতে আগ্রহী হন না। ফলে অপরাধ করেও অনেকে পার পেয়ে যাচ্ছেন। ন্যায়পাল নিযুক্ত করা গেলে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে এবং অপরাধের ঘটনা ঘটলে তা প্রতিকারে অভিযোগকারীর পরিচয় প্রকাশ না করেই নিরপেক্ষভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব হবে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধপ্রবণতা কমে আসবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তথ্য অধিকার আইনকে একটি যুগান্তকারী আইন হিসেবে অভিহিত করে অধ্যাপক আলমগীর বলেন, আইনটি সম্পর্কে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা যথেষ্ট অবহিত নন। আইনের বাধ্যবাধকতার বিষয়গুলো জানা না থাকায় তথ্য প্রদান করতে অনেকেই অনীহা দেখিয়ে থাকেন। ফলে প্রতিষ্ঠানকেও অনেক সময় বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বিষয়টি সম্পর্কে সকলকে সচেতন করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের আহবান জানান।

তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার তথ্য সংরক্ষণ ও সরবরাহ ব্যবস্থা অনেক সহজ করেছে। তিনি তথ্য সেবা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তথ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা শক্তিশালী করার আহবান জানান।  

ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট একটি দেশ নির্মাণের অংশ হিসেবে তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এই আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত হলে প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সভাপতির বক্তব্যে ড. শামসুল আরেফিন তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নে জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ তৎপর হলে তথ্য অধিকার আইনের সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে তিনি জানান। 

জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের উপরিচালক ও তথ্য অধিকার আইনের ফোকাল মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে রিসোর্সপার্সন হিসেবে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে।

 

সর্বশেষ সংবাদ