২৯ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্কতা ইউজিসির
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৫৬ PM , আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:০৪ PM
উপাচার্য না থাকা ২৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকতে বলেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য ছাড়াই শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে এসব বিশ্ববিদ্যালয়। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে শিক্ষার্থীরা নানা জটিলতায় পড়তে পারেন বলে মনে করে প্রতিষ্ঠানটি।
বর্তমানে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ১১৪টি। এর মধ্যে কার্যক্রম চালাচ্ছে ১০৩টি। অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ। ইউজিসি বারবার নির্দেশ দিলেও তা মানছে না এসব বিশ্ববিদ্যালয়। তাই ইউজিসির সবশেষ প্রতিবেদনে এসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আসন্ন নির্বাচনের পরে এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) খসড়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় ‘অবৈধ ক্যাম্পাসে ও অবৈধভাবে’ শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠান তিনটি হলো- ইবাইস ইউনিভার্সিটি, আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ও দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা। এই তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতির নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার কিছুই নেই।
এর ফলে ২০১০ সালের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী, এই তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, পরীক্ষা ও ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের কোনো ‘আইনগত বৈধতা নেই’ বলে ইউজিসি মনে করছে।
এছাড়া বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকায় ইবাইস ইউনিভার্সিটি (ঢাকা) এবং সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (ঢাকা) ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।
অন্যদিকে নির্ধারিত সময়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষাসহ সব কার্যক্রম স্থানান্তরে ব্যর্থ হওয়ায় ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ইউজিসি।
উপাচার্য নিয়োগ বিষয়ে ইউজিসি আরও বলেছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অর্জিত ডিগ্রির মূল সার্টিফিকেটের স্বাক্ষরকারী হবেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতি’ তথা আচার্য কর্তৃক নিয়োগকৃত ভাইস ট্যান্সেলর এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি বলছে, আইন না মানলে ইউজিসি যে ব্যবস্থা নেবে, সে বিষয়ে সমর্থন থাকবে। তবে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিলে সেটি আরও বেশি কার্যকর হয়। সমিতির সহ সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী বলেন, সুশাসনের সুবিধার্থে ইউজিসির বিভিন্ন কমিটি বা অন্য জায়গায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি একান্ত জরুরি প্রয়োজন।
ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ২৯টিতে রাষ্ট্রপতির নিয়োগকৃত উপাচার্য নেই। ইউজিসি বারবার নির্দেশ দিলেও তা মানছে না এসব বিশ্ববিদ্যালয়। এজন্য এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।