পর্যটকদের ফি বাড়াতে যাচ্ছে ভুটান

  © সংগৃহীত

বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের পর্যটকদের আকর্ষণের শীর্ষে রয়েছে ভুটান। পাহাড়ঘেরা বনভূমি, বিস্তির্ণ সবুজের সমারোহ- এ দেশটিকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছে পর্যটকদের কাছে। বাংলাদেশীদের কাছেও দেশটি আকর্ষণ রয়েছে বিশেষ করে এর সুযোগ-সুবিধার কারণে। এর মধ্যে ভুটানে যেতে ভিসা না লাগার সুবিধাটি একবারে শীর্ষে রয়েছে।

তবে শুধু বাংলাদেশই নয়, ভুটানে ‘অন-অ্যারাইভাল ভিসা’ সুবিধা পেয়ে আসছে ভারত এবং মালদ্বীপও। তবে এবার সব ক’টি দেশের জন্যই অন-অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা তুলে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভুটান। যার অর্থ হলো- ভুটান ভ্রমণে এবার বাংলাদেশ, ভারত ও মালদ্বীপের পর্যটকদের ফি বাড়ছে।

ভুটানে মাত্রাতিরিক্ত পর্যটক আসায় কিছু নীতিতে পরিবর্তন আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে আছে বাংলাদেশ, ভারত ও মালদ্বীপের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা তুলে নেয়া। এই সুবিধা তুলে নিলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশি পর্যটকদেরও ভুটানের ভিসার জন্য আগেই আবেদন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে লাগবে বাড়তি ফি, যার পরিমাণ একেবারে কমও নয়।

জানা গেছে, ভুটান ভ্রমণের জন্য বিদেশী পর্যটকদের প্রতিদিন ২৫০ মার্কিন ডলার (২১ হাজার ২৫০ টাকা প্রায়) পরিশোধ করতে হয়। এর মধ্যে ৬৫ ডলার টেকসই উন্নয়ন ফি ও ৪০ ডলার ভিসা ফি বাবদ নেয়া হয়। নতুন নিয়ম চালু হলে ভুটান যেতে অন্য দেশগুলোর মতোই উপমহাদেশের এই তিন দেশের পর্যটকদেরও ভিসা ফিসহ আগেই আবেদন করতে হবে।

পাশাপাশি উন্নয়ন ফি-এর জন্য প্রতিদিন গুণতে হবে ৬৫ ডলার বা পাঁচ হাজার ৬০০ টাকার মতো। অর্থাৎ, কেউ একদিনের জন্য ভুটান গেলে তাকে ভিসা ফির তিন হাজার ৪০০ টাকা (৪০ ডলার) ও উন্নয়ন ফির পাঁচ হাজার ৬০০ টাকাসহ অন্তত ৯ হাজার টাকা অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে।

ভুটানের ট্যুরিজম কাউন্সিলের খসড়া এই পর্যটন নীতি ডিসেম্বরে চূড়ান্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সে হিসেবে ২০২১ সাল থেকে বাড়তি ফি দিয়ে ভুটান ভ্রমণ করতে হবে বাংলাদেশীদের।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে মোট দুই লাখ ৭৪ হাজার পর্যটক ভুটান ভ্রমণ করেছেন। এর মধ্যে দুই লাখই এ উপমহাদেশের, যার মধ্যে আবার এক লাখ ৮০ হাজার ছিল সীমান্তঘেঁষা দেশ ভারতের।


সর্বশেষ সংবাদ