রাবি ভর্তিযুদ্ধ: পরীক্ষার হলে করণীয়-বর্জনীয় 

ভর্তি পরীক্ষার্থী
ভর্তি পরীক্ষার্থী  © ফাইল ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১-২২ সেশনে ভর্তি পরীক্ষার মাত্র দুইদিন বাকি। এবছর নিজের মেধার প্রমাণ দিতে পরীক্ষার হলে বসবেন ১ লাখ ৭৮ হাজার ভর্তিচ্ছু। কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণে ইতোমধ্যে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন শিক্ষার্থীরা। তবে লক্ষ্য জয়ের একধাপ আগে থেকেও কিছু ভুলে স্বপ্ন ভঙ্গ হয় হাজারো শিক্ষার্থীর। তাই জেনে রাখুন পরীক্ষার হলে করণীয় ও বর্জণীয় সম্পর্কে.... 

★ পরীক্ষার হলে নিজেকে সর্বোচ্চ শান্ত রাখার চেষ্টা করা। কোনভাবে উত্তেজিত হলেই ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি হবে।

★ ওএমআর শিট পাওয়ার সাথে সাথেই পূরণ শুরু না করা। যেহেতু নির্দিষ্ট সময়ের ১৫-২০ মিনিট আগেই এ শিট দেয়া হয়। তাই হাতে পাওয়ার পর ২-৩ মিনিট মনোযোগ সহকারে পড়ার পর পূরণ করা। কোন কিছু না বুঝলে কক্ষে থাকা শিক্ষকের সাহায্য নেয়া। কেননা কোন ভুল হলে অতিরিক্ত শিট দেয়া নাও হতে পারে।

★ প্রশ্ন পাওয়ার পর এক নজরে সমস্তটা পড়ে নেয়া। তারপর অপেক্ষাকৃত সহজ প্রশ্নের মাধ্যমে উত্তর শুরু করা।

★ বিজ্ঞানের প্রশ্ন পত্রে আবশ্যক ও অনাবশ্যক দুই ধরণের প্রশ্ন থাকে। তাই দেখে শুনে উত্তর করা। একাধিক উত্তর করলে খাতা বাতিল হবে।

আরও পড়ুন: রেলওয়ের দুর্নীতি নিয়ে আন্দোলনরত রনির ওপর ডিম নিক্ষেপ

★ ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই শুরুতেই এটার উত্তর করতে গিয়ে অধিক সময় না নেয়ায় শ্রেয়। তবে অধিক পারদর্শীদের কথা ভিন্ন।

★ দেশে যেহেতু বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছে, সেহেতু পরীক্ষার চলাকালে বিদ্যুৎ চলে যেতেই পারে। সেই মুহূর্তে অনেক কক্ষের আবছা আলোয় দ্রুত উত্তর করতে গিয়ে ওএমআর শিটের সিরিয়াল নম্বর ভুল হতে পারে। এই এক ভুল মুহুর্তেই দশ ভুলে পরিণত হবে। তাই হলে যথেষ্ট সজাগ থাকতে থাকা।

★ পরীক্ষার হলে নিজ মেধায় উত্তর করার চেষ্টা করা। কোন ধরণের অসদুপায় অবলম্বন করলে খাতা বাতিল হবে। বিষয়টি সর্বদা মাথায় রাখা।

আরও পড়ুন: প্রস্তুতি ভালো, সোমবার রাবিতে যাচ্ছেন সেই বেলায়েত

★ এবছর যেহেতু চার শিফটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সেহেতু প্রতি শিফট থেকে সমান সংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে সকল ইউনিটের নির্দিষ্ট আসন পূরণ করা হবে। তাই প্রশ্নোত্তরে যথেষ্ট মনোযোগী হওয়া। কারণ বিগত বছর গুলোতে ৬০+ নম্বর হলেই মোটামুটি ভর্তি নিশ্চিত হয়েছে। তাই ৫০-৫৫টা সঠিক উত্তরের পর খুব বেশি কনফিউশান থাকা প্রশ্নের উত্তর না করাই শ্রেয়। তবে চান্স পাওয়া ফিফট ভিত্তিক প্রশ্নের মানের উপরও নির্ভরশীল।

★ আত্মবিশ্বাস সক্রিয় রাখা। যুদ্ধে পতন তখনই শুরু হয়, যখন নিজের আত্মবিশ্বাস কমতে শুরু করে। তাই কখনই আত্মবিশ্বাস হারানো যাবে না। প্রশ্ন কঠিন মনে হলে পাঁচ সেকেন্ড চোখ বন্ধ করে শ্বাস নিন, চোখ খুলুন এবং নিজের দক্ষতা দেখান। হাল ছাড়লে হবে না।

সর্বপরি মনে রাখা দরকার যে, নিজের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা ও ভাগ্য উভয়ই স্বপ্ন পূরণের হাতিয়ার। নিজ নিজ যায়গা থেকে সবাই সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। তবে সবাইকে তো নেয়া হবে না। তাই ভর্তিযুদ্ধে টিকে থাকার চেষ্টা জারি রাখার পাশাপাশি নিজেকে সময় উপযোগী করলেই লক্ষ্য জয় সহজ হবে। সকলের জন্য শুভকামনা। 


সর্বশেষ সংবাদ