বুয়েট ভর্তির প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা
অভিজ্ঞতার কথা জানালেন আইইউটি-বুয়েট-ঢাবিতে প্রথম হওয়া সিয়াম
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০১ জুন ২০২২, ০১:২৪ PM , আপডেট: ০১ জুন ২০২২, ০২:০৬ PM
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ২০২১-২২ সেশনে স্নাতক শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার প্রথম ধাপ অর্থাৎ প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা (প্রাথমিক বাছাই) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ৪ জুন। ভর্তিচ্ছুদের হাতে সময় আর মাত্র তিনদিন। বুয়েটের ইইই ডিপার্টমেন্টের মেফতাউল আলম সিয়াম গত বছর একাধারে আইইউটি-বুয়েট-ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন। পরীক্ষার আগে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আর কিছু গাইডলাইন সম্পর্কে জানিয়েছেন তিনি।
‘আমাদের বেলায় পরীক্ষা হয়েছিল দুই দিন ব্যাপী এবং চার শিফটে। কিন্তু এবার পরীক্ষা হবে একদিন ব্যাপী এবং দুই শিফটে হবে। যেখানে সারা বাংলাদেশ থেকে মোট ১৭ হাজার ৩৩ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। তাই সবাই ঢাকার যানজটের বিষয়টি মাথায় রেখে একটু আগেভাগেই বুয়েটের উদ্দেশ্যে রওনা হবে।
আমাদের সময় দ্বিতীয় শিফট এ পরীক্ষা ছিল, সময় ছিল বিকাল ৩টা। পরীক্ষায় ১০০টা এমসিকিউ এর জন্য ১ ঘণ্টা সময় বরাদ্দ ছিল। মানবন্টন যেহেতু সবারই জানা আছে তাই ওই বিষয়ে আর নতুন কিছু না বলি। সাধারণত গণিত অংশটুকু করতে বেশি সময় লাগে, তাই আমি ভেবেছিলাম প্রথমে ফিজিক্স তারপর কেমিস্ট্রি আর সবশেষে গণিত দাগাবো। কিন্তু আমার শিফট এ কেমিস্ট্রি অংশটা বেশি কঠিন ছিল। তাই আমি স্ট্রাটেজি পরিবর্তন করে বিকল্প স্ট্রেটেজি ফলো করেছিলাম। তখন প্রথমে গনিত তারপর পদার্থ আর শেষে রসায়ন অংশটুকু দাগিয়েছিলাম। শেষে সময়ের অভাবে মোট কতটা পূরণ করেছিলাম তা গোনার সময় পাইনি। তবে মোটামুটি ৯৩/৯৪ টার মতো হতে পারে। সব শিফটের পরীক্ষার প্রশ্ন সাধারণত এক রকম হয় না, একটু ভিন্নতা থাকে।
পরীক্ষার হলে দুটো ক্যালকুলেটর নিয়ে যাওয়া ভালো, যদিও প্রিলি তে আরেকটি ক্যালকুলেটর ব্যবহার করার মতো তেমন সময় পাওয়া যায় না, তবে কোনো কারণে ক্যাল্কুলেটর নষ্ট হলে যাতে বিপাকে পড়তে না হয় সেজন্য ব্যাকআপ থাকা দরকার।
সাধারণত ১৫ মিনিট আগে ওএমআরআই শীট দিয়ে দেয়া হয় এবং ৫ মিনিট আগে প্রশ্ন দেওয়া হয় সব পৃষ্ঠায় ঠিকমত প্রিন্ট হয়েছে কিনা দেখার জন্য, তোমরা চাইলে এই সময়ে মনে মনে কিছু প্রবলেম সলভ করে রাখতে পারো। কিন্তু বৃত্ত ভরাট করা যাবে না। পরীক্ষার হলে প্যানিকড হবে না, নিজের সেরা পারফরম্যান্স দেওয়ার চেষ্টা করবে। বাসা থেকে অবশ্যই নিজের মতো একটা প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষার হলে যাবে। প্রশ্নপত্রে চাইলে হিসাব নিকাশ করতে পারবে, আর পরীক্ষার পর প্রত্যেকের প্রশ্ন ফেরত দিয়ে আসতে হবে।
কাট মার্ক সাধারণত প্রত্যেক শিফট এ একরকম হয় না, প্রশ্নের উপর নির্ভর করে, প্রশ্ন তুলনামূলক সহজ হলে কাট মার্কও বেশি থাকে। তবে মোটামুটি ৭০ এর কাছাকাছি মার্ক থাকলে অনেকটাই নিরাপদ বলা যায়। প্রশ্ন কঠিন হলে আরো কম নম্বর পেয়েও নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। MCQ প্রশ্নগুলো রুয়েট, কুয়েট, চুয়েটের মত অতটা বড় থাকে না, থাকলেও সংখ্যায় খুব কম। একটু ঠাণ্ডা মাথায় পরীক্ষা দিলে প্রিলি টপকাতে খুব বেশি অসুবিধা হবে না। সবার জন্য শুভকামনা রইল।’
মেফতাউল আলম সিয়াম
বুয়েট ১ম বর্ষ
ইইই ডিপার্টমেন্ট