শেষ সময়ের মেডিকেল ভর্তি প্রস্তুতিতে চাপমুক্ত থাকবে যেভাবে
মাত্র ১০দিন পর তোমাদের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা। ভর্তি প্রস্তুতি বলতে শুধু পড়াশোনার প্রিপারেশন বোঝায় না। মেন্টালি প্রিপেয়ার্ড থাকাটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ভাল প্রিপারেশন থাকা সত্ত্বেও তুমি মেডিকেলে চান্স মিস করতে পারো যদি মানসিকভাবে পিছিয়ে থাকো।
মেন্টাল প্রিপারেশন কিভাবে নেবো? যথাসম্ভব দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে হবে। একটি পরীক্ষা তোমার জীবনের সবকিছু নয়। যোগ্যতা থাকলে তুমি জীবনে সফল হবেই। সুতরাং এই একটি পরীক্ষাকে জীবন-মরণ বানিয়ে ফেললে অতিরিক্ত মানসিক চাপ তৈরি হবে যা আদতে তোমার খারাপই করবে। পড়তে হবে প্রচুর কিন্তু অতিরিক্ত চাপ যেন পরীক্ষার হলে তোমার প্রিপারেশনকে বাধাগ্রস্থ না করে। তোমার কাজ শুধু পড়াশোনা করা বাকিটা সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা। এই সময়ে নিয়মিত নামাজ/নিজ ধর্মানুযায়ী উপাসনা করবে। এতে ভরসার সবচেয়ে বড় জায়গা সৃষ্টিকর্তাকে পেয়ে যাবে যা তোমাকে চাপমুক্ত রাখবে অনেকটা।
ঘুম, গোসল এবং খাওয়া দাওয়া যেন নিয়মিত হয়৷ হুট করে বেশি পড়তে গিয়ে এই তিনটি জায়গায় অনিয়ম করলে অসুস্থ হয়ে মেডিকেলের স্বপ্নটাই ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। তাই প্রতিদিন কমপক্ষে ৫/৬ ঘন্টা ঘুম আদতে তোমার সাহায্যই করবে। পর্যাপ্ত ঘুম পড়াশোনাকে আরও বেশি ইফেক্টিভ করে।
আরও পড়ুন: আল্লাহর উপর ভরসা করেছি, তিনি ফল দিয়েছেন—মেডিকেলে প্রথম মিশোরী
কোচিংয়ে কে কত নাম্বার পাচ্ছে সেদিকে মনোযোগ না দেওয়াই ভাল এখন। নাম্বার দেখতে গেলে তুমি কখনও সন্তুষ্ট হতে পারবে না। সব সময় কেউ না কেউ তোমার থেকে বেশি পাবেই। তুমি ফার্স্ট হলেও দেখবে ১০০ না পাওয়ার আফসোসে পুড়তে হচ্ছে। সুতরাং অন্যের নাম্বারের দিকে না তাকিয়ে নিজের নাম্বার কিভাবে আরও ভাল করা যায় সেদিকে বেশি ফোকাস করো। এক্সামের ভুলগুলো চিহ্নিত করো এবং সমাধান করো। অন্যের নাম্বার দেখলে ডিপ্রেশন পেয়ে বসবে।
তুমি যা পরিশ্রম করেছো সেই অনুযায়ী সাফল্য পাবে। সুতরাং অহেতুক দুশ্চিন্তা করে কি লাভ! তোমরা পড়বে, এক্সাম দেবে, চান্স পাবে, সাদা এপ্রোন পরে স্টেথোস্কোপ গলায় ঝুলিয়ে হাসপাতাল করিডোরে হাটবে সেই কামনায়।
লেখক: শিক্ষার্থী, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ
ডিরেক্টর, মেডিলজি