০৫ মার্চ ২০২২, ১২:৪৫

বেশি বেশি পরীক্ষা দিয়ে নিজেকে যাচাই করে নিতে হবে

রাফিদ হাসান সাফওয়ান  © টিডিসি ফটো

আর অল্প কিছুদিনের মধ্যে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে। এই সময়ে কীভাবে প্রস্তুতি নিলে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব- সে বিষয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানাচ্ছেন রাফিদ হাসান সাফওয়ান। তিনি ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিট ও গুচ্ছের ‘খ’ ইউনিটে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘খ’ ইউনিটে হয়েছিলেন ৩৬তম। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির আইন বিভাগে পড়াশোনা করছেন।

রাফিদ বলেন, আমার পড়াশোনা প্রথমত ধারাবাহিক ছিলো। আমার পড়াশোনায় খুব বেশি নাটকীয় গল্প নেই। দিনের পর দিন না খেয়ে পড়েছি বা রাত জেগে পড়েছি এমন কোনো গল্প আমার নেই। আমরা প্রস্তুতির জন্য একটা দীর্ঘ সময় পেয়েছিলাম। পড়াশোনা ধারবাহিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করেছিলাম। শুধু আলিম পরীক্ষার পর প্রস্তুতি নয় ছোটবেলা থেকে ইংরেজির বেসিক, বাংলার ব্যাকরণ বিষয়ে ভালো ধারণা থাকার কারণে ভর্তি পরীক্ষায় ভালো ফল করতে পেরেছিলাম।

ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করতে হলে ধারবাহিকতা বজায় রাখতে হবে জানিয়ে ঢাবির এই শিক্ষার্থী বলেন, পরিশ্রমের ধারাবাহিকতা থাকতে হবে। একদিন খুব বেশি পড়ে আরেকদিন যাতে অসুস্থ হয়ে না পড়ি সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিগত বছরের প্রশ্নগুলো অ্যানালাইসিস করতে হবে। যে টপিক থেকে প্রশ্ন আসে বা যে ধরনের প্রশ্ন আসে সেভাবে উত্তর করার প্রস্তুতি থাকতে হবে।

আরও পড়ুন- ভর্তি পরীক্ষার সিলেবাস: শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে দ্বিধা বাড়ছে

রাফিদ আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লিখিত পরীক্ষা ভালো করতে হলে প্রতিদিন বাংলা ও ইংরেজিতে ২/৩ ঘণ্টা সময় দিতে হবে। নিজের মতো করে শুদ্ধভাবে লেখার প্র্যাক্টিস করতে হবে। সাহিত্যের মতো করে লিখতে হবে। লেখায় ভালো ভালো শব্দের প্রয়োগ করতে হবে। পত্রিকার আর্টিকেল পড়ে সেটি নিজের মতো করে লেখার চেষ্টা করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার সহজ টেকনিক হচ্ছে বেশি বেশি করে পড়াশোনা করা। আরেকটা বিষয় আগের বছরের প্রশ্নগুলো দেখা। সেখান থেকে হুবহু না হলেও অনুরূপ প্রশ্ন পরীক্ষায় আসে।

তিনি বলেন, হতাশ হওয়া যাবে না। পড়ার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। বারবার পরীক্ষা দিয়ে নিজেকে যাচাই করে নিতে হবে। যে টপিকে সমস্যা হবে সেই টপিক বারবার পড়ে সমস্যা দূর করে নিতে হবে। একাধিক বই আংশিক না পড়ে একটা বই ভালোভাবে শেষ করতে হবে। অনেকে একাধিক বই পড়তে গিয়ে কোনো বই ভালোভাবে শেষ করে না।

আরও পড়ুন- গুচ্ছের ২০ বিশ্ববিদ্যালয় ভিসিদের সভা আগামী সপ্তাহে

এক প্রশ্নের জবাবে রাফিদ বলেন, সবাই তার প্রয়োজন মতো পড়বে। একজন মধ্যম মানের ছাত্র-ছাত্রীকে দৈনিক ৮/১০ ঘণ্টা পড়া উচিত ভর্তি পরীক্ষার সময়। একটা রুটিন বানিয়ে নেয়া উচিত। পরীক্ষার আগ পর্যন্ত কী কী পড়বে, কোন টপিক কয়দিন পড়বে সেগুলো রুটিনের মধ্যে থাকতে হবে।

কোচিং করা জরুরি বিষয় নয় জানিয়ে তিনি বলেন, কেউ যদি মনে করে কোচিং না করেও প্রশ্নের প্যাটার্ন বুঝে ঘরে বসে প্রস্তুতি নেবে সেটাও সম্ভব। কোচিং শুধু গাইড লাইনের কাজ করে আর কিছুই না। টেক্সট বইকে কেন্দ্র করেই প্রস্তুতি নিতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে বোঝার জন্য সহায়ক বইয়ের প্রস্তুতি নেয়া যাবে। জিপিএ-য়ের ঘাটতি ভর্তি পরীক্ষায় ভালো নাম্বার তোলার মধ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে। আমার অনেক সহপাঠীই আছে যারা জিপিএ কম নিয়েও মানবিকের সর্বোচ্চ বিষয় আইন বিভাগে পড়ছে। তাই  জিপিএ নিয়ে এখন টেনশন না করে ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করার চেষ্টা করার আহ্বান জানান তিনি।