শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি: লক্ষ্য যাদের রাবির ‘সি’ ইউনিট

সময় যেহেতু একেবারে দোরগোড়ে, কার্যকরী পড়াশোনা ও আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে
সময় যেহেতু একেবারে দোরগোড়ে, কার্যকরী পড়াশোনা ও আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে  © টিডিসি ছবি

দেখতে দেখতে দিন এগিয়ে আসছে বহুল প্রতীক্ষিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ। হাতে রয়েছে মাত্র ১০ দিন। স্বপ্ন যেন দরজায় কড়া নাড়ছে। ফলে বাড়ছে যেমন উত্তেজনা, তেমনি বাড়ছে হতাশার দীর্ঘশ্বাস। তাই শেষ সময়ে ভর্তিচ্ছুদের কাঙ্খিত ক্যাম্পাসে স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে আজকের আলোচনা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ভর্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট সি তথা বিজ্ঞান ইউনিট সম্পর্কে।

সময় যেহেতু একেবারে দোরগোড়ে, সেহেতু কার্যকরী পড়াশোনা ও প্রবল আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। সুতরাং শেষ সময় আজেবাজে জিনিস পড়ে সময় নষ্ট না করে বরং গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো শেষ করার পাশাপাশি হতাশা ত্যাগ করাই বাঞ্চনীয়।

আরও পড়ুনঃ শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি: লক্ষ্য যাদের ঢাবি ‘গ’ ইউনিট

মনে রাখতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেতে মুল বইয়ের বিকল্প নাই। কেননা সেখান থেকেই অধিকাংশ প্রশ্ন কমন থাকে। তাই মূল বইকে বেশি গুরুত্ব দেয়ার পাশাপাশি অন্যন্য গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো শেষ করতে হবে। তবে চলুন বিষয়ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো যেনে নেয়া যাক-

পদার্থ বিজ্ঞান:

বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় পদার্থ বিজ্ঞান। এখান থেকে মূলত গানিতিক সুত্র প্রয়োগ করে কিছু ছোট ছোট অংক করতে হয়। সুতরাং পদার্থ বিজ্ঞানের গানিতিক টার্মগুলোতে অবশ্যই ভালো ধারণা রাখতে হবে। যাতে প্রশ্ন দেখেই সুত্র মাথায় আসে। এছাড়া ভেক্টর, গতিবিদ্যা, তরঙ্গ, আদর্শ গ্যাস, তাপগতিবিদ্যা, চল তড়িৎ,জ্যামেতিক আলোক বিজ্ঞান, আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞান টপিকগুলোতে গুরুত্ব দিতে হবে।

রসায়ন:
রসায়নের প্রতিটি অধ্যায়ই গুরুত্বপূর্ণ। তবে শেষ সময়ে জৈব রসায়ন, পরিমানগত রসায়ন, তড়িত রসায়ন, পরিবেশ রসায়ন বেশি গুরুত্ব দেয়া দরকার। এছাড়া জৈব রসায়নের বিক্রিয়াগুলোর মধ্যে ক্লিমেনসন বিজারন বিক্রিয়া, ওজন বিক্রিয়া, ক্যানিজারো বিক্রিয়া, SN1,SN2, অ্যালডল ঘনিভবন বিক্রিয়া,পলিমারকরণ বিক্রিয়া, উটজ বিক্রিয়া, উটজ ফিটিকস বিক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ।

গনিত:
গনিতের ক্ষেত্রে ছোট ছোট কিন্তু ব্যতিক্রম অঙ্ক গুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এগুলোই মূলত পরীক্ষায় আসে। তবে সরলরেখা, বৃত্ত, কনিক থেকে প্রায় ৪০% প্রশ্ন কমন থাকে। এছাড়া ক্যালকুলাস, ত্রিকোণমিতি ও ম্যাটিক্স
এগুলাতে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

জীব বিজ্ঞান:
মোটামুটি সব অধ্যায়েরই ধারণা রাখতে হবে। তবে বৈজ্ঞানিক নাম ও বিভিন্ন প্রাণীর আচরণসহ উদ্ভিদবিদ্যা অংশগুলো পড়তে হবে।

আইসিটি:
আইসিটি অংশের জন্য তৃতীয় ও ষষ্ঠ অধ্যায় পড়লেই মোটামুটি হয়ে যাবে। এছাড়া অন্যন্য অধ্যায়ের বেসিক টপিকগুলো সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারণা থাকতে হবে।

এছাড়া বাংলা ইংরেজি নিয়ে বেশি টেনশনের কারণ নেই। কেননা, এই ইউনিটে অধিকাংশ প্রশ্নই বেসিক থেকে হয়। তাই শেষ সময়ে সবকিছু পড়ে মাথা নষ্ট করার দরকার নেই। যেগুলো পড়েছো ওগুলোই বার বার রিভিশন দিলেই হবে।

সুতরাং স্বপ্নের ক্যাম্পাসে নিজের একটা জায়গা করে নিতে মূল বই ভালোভাবে শেষ করার পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিগত ১০ বছরের প্রশ্ন গুলো পড়ে পরিস্কার ধারণা রাখতে হবে। কেননা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিগত সালের প্রশ্ন থেকেই অনেক প্রশ্ন কমন থাকে। এছাড়া সুযোগ হলে ঢাবি, চবি, ইবি, জাবি, জবির বিগত ৩/৪ সালের প্রশ্ন পড়লে কিছু প্রশ্ন কমন পাওয়া যেতে পারে।

তাই সময় নষ্ট না করে প্রতিদিন রুটিন করে ১০-১২ ঘন্টা পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের ভুলগুলো চিহ্নিত করতে হবে এবং তা সমাধান করতে হবে। সুতরাং পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হবে। যা তোমাকে কাঙ্খিত গন্তব্যে পৌঁছে দিবে।

লেখক: আসাদুজ্জামান নুর

শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়


সর্বশেষ সংবাদ