৪১তম বিসিএস: শেষ সময়ের ২৩ পরামর্শ

  © টিডিসি ফটো

আগামী ১৯ মার্চ (শুক্রবার) ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৪১তম বিসিএসে আবেদন করেছিলেন ৪ লাখ ৭৫ হাজার জন। এ বিসিএসে ২ হাজার ১৬৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

পরীক্ষার্থীদের শেষ সময়ের প্রস্তুতি হিসাবে ২৩টি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন ৩৭তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে ৮ম স্থান অধিকার করেছিলেন দিদার নূর। তিনি মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। তার পরামর্শগুলো শুনেছেন— এম এম মুজাহিদ উদ্দীন


৪১তম বিসিএস প্রিলিমিনারি: শেষ সময়ে পরীক্ষার্থীদের করণীয়

১. যা পড়া হয়েছে তা বারবার রিভাইজ দিন। এসময় নতুন কিছু পড়া থেকে বিরত থাকুন।
২. অতিসাম্প্রতিক তথ্য পড়া থেকে বিরত থাকুন। এগুলা আপনার মাথা ভারী করার জন্য যথেষ্ট। বিগত বছরের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে অতিসাম্প্রতিক থেকে সর্বোচ্চ ২/১ টা প্রশ্ন আসে যা না পারলেও আপনি ঠিকই প্রিলি পাস করে যাবেন।
৩. বাসায় বসে প্রতিদিন ২/১টা মডেল টেস্ট দেওয়ার চেষ্টা করুন। এটা আপনার আত্নবিশ্বাস বাড়াতে সহায়তা করবে।

৪. মডেল টেস্ট দেয়ার সময় ‘সময়ের’ দিকে খেয়াল রাখুন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পরীক্ষা শেষ করার চেষ্টা করুন।
৫. এসময় কোচিং সেন্টারে যাওয়া থেকে পারতপক্ষে বিরত থাকুন। যেটুকু সময় আছে তার সর্বোচ্চটুকু কাজে লাগানোর চেষ্টা করুন।
৬. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে অনেককিছু শেয়ার করবে, যা আপনার পড়া হয়নি এগুলো পড়া থেকে বিরত থাকুন।

৭. কে কি পড়লো না পড়লো এটা নিয়ে ডিসকাস করা থেকে বিরত থাকুন। ডিসকাস করার সময় কোনকিছু জানা না থাকলে নিজের প্রস্তুতিকে অসম্পূর্ণ মনে হবে। যা আপনার আত্নবিশ্বাস কমিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
৮. বীজগণিত, পাটিগণিত, জ্যামিতির সূত্রগুলো বারবার দেখে নিন। সূত্র মনে রাখলে অনেক অংকের উত্তর প্রদান সহজ হয়।

৯. গনিত, বিজ্ঞান, সংবিধান, কম্পিউটার, ইংরেজির ওপর বেশি বেশি চোখ বুলান।
১০. বাংলা, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী যা পড়া হয়েছে তার বাইরে আর নতুন করে কিছু না পড়াটাই শ্রেয়।
১১. ব্রেণ শার্প রাখার জন্য এসময় পর্যাপ্ত ঘুম ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়াটা জরুরি। এদিকটায় খেয়াল রাখুন।
১২. এসময় অতিরিক্ত প্রেসার নেবেন না। অতিরিক্ত মানসিক প্রেসার কখনোই ভাল কিছু বয়ে আনে না।

১৩. পরীক্ষার কেন্দ্রের নাম ও অবস্থান ভাল করে জেনে নিন। অনেকে দেখা যায় ভুল করে ভিন্ন কেন্দ্রে চলে যায়। তখন আসলে চোখের পানি ফেলা ছাড়া আর করার কিছু থাকবে না।
১৪.পরীক্ষার আগের রাতেই প্রয়োজনীয় কাগজ-কলম একটা ফাইলে গুছিয়ে রাখুন। আর পরীক্ষার আগের রাতে পর্যাপ্ত ঘুম খুব জরুরি।তাই বেশি রাত জাগা থেকে বিরত থাকুন।

১৫. পরীক্ষার ১ ঘন্টা আগে কেন্দ্রে পৌঁছানোর চেষ্টা করুন। কেন্দ্রে পৌঁছার পর কারো সাথে পড়ালেখা নিয়ে আলাপ-আলোচনা না করাটাই শ্রেয়।
১৬. উত্তরপত্রে রেজিস্ট্রেশন নম্বর লেখা ও বৃত্ত ভরাট করার সময় এডমিটের সাথে ভাল করে মিলিয়ে নিন এবং ক্রস চেক দিন।

১৭. প্রশ্নের সেট নম্বর পূরণ করার সময় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন। কমপক্ষে তিনবার চেক করুন প্রশ্নে প্রদত্ত সেটের সাথে আপনার উত্তরপত্রে পূরণ করা সেট নম্বরের মিল আছে কিনা। সেট ভুল হয়ে গেলে কিন্তু আপনার প্রিলি ফেল কেউ ঠেকাতে পারবে না।
১৮. অংক এবং ইংরেজি সবশেষে উত্তর করার চেষ্টা করুন। প্রথমেই অংকে হাত দিলে সময় মেইনটেইন করা আপনার জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।

১৯. যে প্রশ্নের উত্তরগুলো আপনার ১০০% জানা আছে সেগুলো আগে বৃত্ত ভরাট করে ফেলুন।
২০. জানা প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পর একবারে শেষে কিছু সময় কনফিউজিং প্রশ্নের জন্য রাখুন।
২১. যদি দেখা যায় ১২০/১৩০টি প্রশ্নের সঠিক উত্তর আপনি দাগিয়ে ফেলেছেন তখন অনুমান নির্ভর দাগানো থেকে বিরত থাকুন। নেগেটিভ মার্কিং আপনার পাসকে ফেল বানাতে যথেষ্ট।

২২. প্রশ্ন যত সহজ বা কঠিন হউক না কেন ১২০ পেলে আপনি ইনশাল্লাহ প্রিলি পাস করবেনই। তাই কাঙ্ক্ষিত নম্বরের উত্তর দাগানো শেষ হয়ে গেলে অনুমাননির্ভর দাগানো থেকে বিরত থাকুন।
২৩. সর্বোপরি সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রাখুন। ভাগ্যে থাকলে বিসিএস আপনার হবেই। সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইলো। আল্লাহ হাফেজ।


সর্বশেষ সংবাদ