কেন পড়বেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

দেশের অন্যতম প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৫৩ সালে যাত্রা করে পঠনপাঠন শিক্ষা, গবেষণা, অবকাঠামো উন্নয়ন ও সৌন্দর্য বর্ধনে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। একইসাথে কালের প্রবাহে বাঙালির বহু আন্দোলন-সংগ্রামেরও সাক্ষী হয়েছে এ ক্যাম্পাস। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান , স্বাধীনতা যুদ্ধ ও তৎপরবর্তীকালের বিভিন্ন আন্দোলনে বহু ত্যাগ শিকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী। দেশের জন্য আত্মদান করে স্মরণীয় হয়ে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক জ্ঞানতাপস। প্রতিবছর উচ্চ শিক্ষা প্রত্যাশীদের একটি বড় অংশের লক্ষ্য থাকে এ বিশ্ববিদ্যালয়। 

কেন পড়বেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে: প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ পর্যন্ত এই বিদ্যাপীঠ থেকে তৈরি হয়েছে অনেক বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, বুদ্ধিজীবী, অর্থনীতিবিদ, সমাজনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিবিদ, অভিনেতা, নাট্যকার, গবেষক, ইতিহাসবিদ, শিক্ষাবিদ, জ্ঞানী-গুণী ও সৃষ্টিশীল ব্যক্তিত্ব। প্রায় প্রতিটি বিভাগেই রয়েছেন দেশের সনামধন্য মেধাবী শিক্ষকবৃন্দ। এছাড়া বিভিন্ন সাংস্কৃতিক চর্চার জন্যও বেশ সুনাম রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রদত্ত ডিগ্রিসমূহ: বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ে প্রদত্ত ডিগ্রিসমূহের মধ্যে রয়েছে- স্নাতক (সম্মান): বিএ , বিএফএ, বিপিএ, বিএসসি, বিফার্ম, এলএলবি, বিবিএ, বিএসএস, বিএসসি এজি, বিএসসি ফিশারীজ ও বিএড। স্নাতোকত্তর পর্যায়ে প্রদত্ত ডিগ্রিসমূহের মধ্যে রয়েছে এমএ, এমএফএ, এমপিএ, এমএসসি, এমফার্ম, এলএলএম, এমবিএ, এমএসএস, এমএস এজি, এমএস ফিশারীজ, এমএড ও এমপিএস।

স্নাতক পর্যায়ে আসন সংখ্যা: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৯টি বিভাগ এবং ২টি ইনস্টিটিউটে মোট ৪ হাজার ১৭৩টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে এ ইউনিটে (মানবিক)- আসন সংখ্যা ২ হাজার ১৯টি। বি ইউনিটে (ব্যবসায় শিক্ষা) আসন সংখ্যা ৫৬০টি ও সি ইউনিটে (বিজ্ঞান) আসন সংখ্যা ১ হাজার ৫৯৪টি।

আবাসন সুবিধা: বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীদের জন্য মোট ১৭ টি আবাসিক হল রয়েছে। বর্তমানে মোট ৫ হাজার ৪৬৯ জন ছাত্র এবং ৪ হাজার ২০৪ জন ছাত্রী আবাসন সুবিধা পাচ্ছেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে করণীয়: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রাথমিক  আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। প্রাথমিক আবেদনকারীদের মধ্য থেকে প্রতিটি ইউনিটে সর্বোচ্চ ৭২ হাজার ভর্তিচ্ছু পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন। চূড়ান্ত আবেদন প্রক্রিয়া শেষে  ২৯,৩০ এবং ৩১ মে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ১০০ নম্বরের MCQ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার সময় হবে ১ (এক) ঘণ্টা। পরীক্ষায় প্রতিটি ইউনিটে ৮০টি প্রশ্ন থাকবে। পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্কিং প্রযোজ্য হবে। প্রতি ৪টি ভুল উত্তরের জন্য ১ (এক) নম্বর কাটা যাবে। ভর্তি পরীক্ষায় পাশ নম্বর ৪০। এছাড়া ইউনিট/বিভাগ/ইন্সটিটিউট কর্তৃক আরোপিত শর্ত প্রযোজ্য হবে। অনলাইনে প্রদত্ত নির্দেশনা অনুযায়ী বিশেষ কোটার প্রার্থীদের আবেদন করতে হবে।

যেভাবে নিবেন ভর্তি প্রস্তুতি: বিশ্ববিদ্যালয়টির এ ইউনিটে বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান থেকে প্রশ্ন করা হয়। বাংলার ক্ষেত্রে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর মূল পাঠ্যবই ভালোভাবে পড়তে হবে পাশাপাশি ব্যাকরণ অংশের জন্য নবম-দশম শ্রেণীর এনসিটিবি কর্তৃক নির্ধারিত ব্যাকরণ বইটি ভালোভাবে আয়ত্ত্ব করতে হবে। ইংরেজির ক্ষেত্রে গ্রামার অংশের পাশাপাশি ভোকাবুলারি অংশে গুরুত্ব দিতে হবে এবং সাধারণ জ্ঞানের ক্ষেত্রে গতানুগতিক বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি সাম্প্রতিক ঘটনাবলিতে জোর দিতে হবে।

বি ইউনিটে বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা, ইংরেজি, ব্যবসা সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা, হিসাববিজ্ঞান ও আইসিটি থেকে প্রশ্ন করা হয় এবং অবানিজ্য বিভাগের জন্য বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান থেকে প্রশ্ন করা হয়। এ ইউনিটের প্রস্তুতির জন্য মূল পাঠ্যবই এবং প্রশ্নব্যাংক সমাধান বেশ সহায়ক।

সি ইউনিটে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান, আিইসিটি, গণিত এবং জীববিজ্ঞান থেকে প্রশ্ন করা হয় এবং অন্যান্যদের জন্য বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান থেকে প্রশ্ন করা হয়। এ ইউনিটে ভালো ফলাফলের জন্য প্রতিটি বিষয়ের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো আয়ত্তে আনা জরুরি। একইসাথে বিভিন্ন গাণিতিক সমস্যা দ্রুত সমাধানে দক্ষ হতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ