ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সফলতা এনে দিতে পারে যে পাঁচ পদক্ষেপ
উচ্চশিক্ষা প্রত্যাশীদের তুলনায় দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা কম হওয়ায় প্রতিবছরই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য মেধার লড়াইয়ে নামতে হয় শিক্ষার্থীদের। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৫০ হাজার ৩৯৬টি আসন রয়েছে। অপরদিকে ০৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে শুধুমাত্র জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২টি। অর্থাৎ এ বছরও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন না প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার শিক্ষার্থী।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় শীর্ষস্থান অর্জনকারীদের বক্তব্য অনুযায়ী মূলত নিয়মতান্ত্রিক এবং কৌশলী পড়ালেখাই ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের এগিয়ে রাখে। আবার ভর্তি পরীক্ষায় খুব অল্প নম্বরের ব্যবধানে শিক্ষার্থী নির্বাচন করায় সামান্য অবহেলাই অনেকসময় পিছিয়ে দিতে পারে মেধাবী শিক্ষার্থীদেরও। আজকের প্রতিবেদনে থাকছে ভর্তি পরীক্ষায় সফলতা পেতে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতির বিষয়ে কিছু পরামর্শ।
১. মূল বইয়ে গুরুত্ব প্রদান
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে অধিকাংশ প্রশ্নই মূল বই থেকেই করা হয়। একারণে ভর্তি পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য মূল বইয়ের বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে প্রতিটি বিষয়ে এনসিটিবি অনুমোদিত অন্তত দুটি বই ভালোভাবে আত্মস্থ কর উচিত। বিশেষত প্রতিটি অধ্যায়ের খুঁটিনাটি তথ্য বেশ ভালোভাবে মনে রাখা জরুরি।
২. সময়ানুবর্তিতা
ভর্তি পরীক্ষায় ভালো প্রস্তুতির জন্য প্রতিদিন অন্তত ৮-৯ ঘণ্টা পড়া উচিত। গবেষকদের মতে রাত জেগে পড়লে সারাদিনের বিভিন্ন কাজের চিন্তা মস্তিষ্কে ভীড় করে ফলে পড়া ভুলে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। অপরদিকে সকালে আমাদের মস্তিষ্কের নিউরনগুলো অনেক বেশি সতেজ থাকে ফলে পড়া সহজেই আত্মস্থ করা যায়। একারণে রাত জেগে না পড়ে বরং সকালে পড়ার প্রতি বেশি সময় দেয়া শ্রেয়।
আরও পড়ুন: শুধুমাত্র পাস নিয়েই বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তির নিয়ম থাকছে না
৩. বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধান
বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধানের মাধ্যমে একদিকে যেমন ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নের ধরণ সম্পর্কে ভালো ধারনা পাওয়া যায় অপরদিকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উত্তর করার বিষয়ে নিজের দক্ষতাও বৃদ্ধি পায়। এছাড়া বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধানের মাধ্যমে সহজেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ চিহ্নিত করা যায়।
৪. নিজের দুর্বলতা খুঁজে বের করা
নিজের কোন কোন বিষয়ে দুর্বলতা রয়েছে সঠিকভাবে বুঝতে হবে এবং সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। অনেকসময় দেখা যায় শিক্ষার্থীরা যেসব বিষয়ে দুর্বলতা রয়েছে সেগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। তবে এধরনের সিদ্ধান্ত ভর্তি পরীক্ষায় ব্যর্থতার সম্ভাবনা বাড়াতে পারে। একারণে কোনো বিষয়ে দুর্বলতা থাকলে সেই বিষয়ে অধিক সময় প্রদানের মাধ্যমে দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে হবে।
৫. আত্মবিশ্বাস
যে কোনো কাজেই সফল হতে আত্মবিশ্বাসের বিকল্প নেই। ভর্তি প্রস্তুতির ক্ষেত্রে নিজের ওপর পর্যাপ্ত আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। আত্মবিশ্বাসের অভাবে অনেকসময় শিক্ষার্থীরা জানা জিনিসও পরীক্ষায় ভুল করে আসে। যেহেতু প্রতিযোগিতা অনেক বেশি, সামান্য একটু ভুলও শিক্ষার্থীদের নিয়ে যেতে পারে স্বপ্ন থেকে অনেক দূরে।