পরীক্ষা শেষে বা নতুন ক্লাসে উঠে পুরোনো বইগুলো কি করবেন
সবশেষ দু’তিন মাসের মধ্যে শেষ হয়েছে লাখ লাখ শিক্ষার্থীর এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষা। তাদের এখন লড়াই পরবর্তী ধাপের শিক্ষা ব্যবস্থায় যাওয়ার। কয়েকদিন বাদে নতুন ক্লাসে উঠবেন প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও চলছে সেমিস্টার বা ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষার তোড়জোড়। এরপরই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর জন্য প্রয়োজন হবে নতুন বই। বাতিলের খাতায় চলে যাবে পুরোনো বইগুলো।
নতুন ক্লাসে ওঠার পর পুরোনো বইগুলোর কিছু নির্দিষ্ট কাজে ব্যবহারের প্রবনতা দেখা যায়। সরকারি অনেক পুরোনো বই ফেরত দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। এর বাইরে কেজি দরে বিক্রি করে দেন অনেকে। কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী অন্যদের কাছে বিক্রি করেন, যদিও সংখ্যায় তা অনেক কম।
করোনাকালের পর বিশেষ করে চলতি বছরের শুরু থেকেই দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বমুখী। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এ পালে আরও হাওয়া লাগিয়েছে। সবকিছুর সঙ্গে অস্বাভাবিক বেড়েছে কাগজের দামও। স্বাভাবিকভাবেই বইয়ের দামও বাড়ছে। এতে দেশের গরিব পরিবারগুলোর বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর নতুন বই কেনার সামর্থ্য থাকবে না।
আরো পড়ুন: সরকারি বই বিক্রির অভিযোগে মামলা, কারাগারে দুই শিক্ষক
এ সময়টাতেই এগিয়ে আসতে পারেন আপনি। পুরোনো বইগুলো কেজি দরে বিক্রি না করে গরিব কাউকে দিয়ে দিতে পারেন। কিংবা কেউ নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করতে পারেন। কেজি দরে বিক্রি করলে বইটি বাতিলের খাতায় চলে যাবে। কিন্তু অন্য কোনো শিক্ষার্থীকে দিলে বা বিক্রি করলে তিনি উপকৃত হবেন। কম খরচে পড়ার সুযোগ পাবেন।
এ জন্য পুরোনো বই কেনাবেচার প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতাও নিতে পারেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই এ ধরনের অনেক প্রতিষ্ঠানের খোঁজ পাওয়া যাবে। পুরোনো বই অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও বিতরণ করে। এ সব সংগঠনকে বইগুলো দিলে তাঁরা পৌঁছে দেবে গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের কাছে।
এতে আরও একটি উপকার পাওয়া যাবে। এখনকার এই কঠিন সময়ে কাগজ সাশ্রয়ের সুযোগও তৈরি করবে। ইতিমধ্যে গণমাধ্যমে এ নিয়ে উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে। নতুন বই ছাপাতে হিমশিম খাচ্ছে প্রকাশনাগুলো। সরকারের ভালো মানের কাগজে বই দেওয়ার উদ্যোগও হুমকির মুখে। এক্ষেত্রে আপনার পুরোনো বইগুলো অন্যকে পড়ার সুযোগ দিয়ে আপনিও কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করার সুযোগ দিতে পারেন।