২২ অক্টোবর ২০২২, ১৩:৩৬

থাইরয়েডের রোগীরা সুস্থ থাকার জন্য কী খাবেন

থাইরয়েড  © সংগৃহীত

থাইরয়েড হলো গলার সামনে অবস্থিত প্রজাপতি আকৃতির গ্রন্থি। এটি খাবার থেকে আয়োডিন নিয়ে থাইরয়েড হরমোন উৎপাদন করে। থাইরয়েড হরমোন শরীরের প্রায় সকল কার্যক্রমে সহযোগিতা করে, যেমন- হার্ট রেট, লিভার ফাংশন, সার্কুলেশন, মেটাবলিজম ও ইন্টারনাল ক্লক। এখন অনেকেরই থাইরয়েডের সমস্যা দেখা যায়। বিশেষ করে, নারীর ঝুঁকি বেশি।

থাইরয়েড জটিলতার কারণ হিসাবে অটোইমিউন বা দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার ত্রুটিকে দায়ী করা হয়। কিছু কিছু খাবার থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। যেমন-আয়োডিন, ভিটামিন সি, জিঙ্ক, থায়ামিন, ভিটামিন বি২ রাইবোফ্লাভিন, নায়াসিন, ভিটামিন বি৬ বা পাইরডক্সিন এবং সেলেনিয়াম।

সবুজ পাতা: পালং শাক আর লেটুস আপনার খাবারের তালিকায় নিয়মিত রাখুন। এতে আছে ম্যাগনেশিয়াম ও নানা খনিজ। সবুজ পাতা আপনার থাইরয়েডকে সুস্থ রাখবে। ফলে শরীরও থাকবে সুস্থ।

বাদাম: বাদামজাতীয় খাবার নিয়মিত খাবেন। বিশেষ করে কাজুবাদাম। এ ছাড়া কুমড়ার বীজও কাজের। এতে আছে আয়রন ও সেলেনিয়াম, যা থাইরয়েড ভালো রাখে।

সামুদ্রিক খাবার: সামুদ্রিক খাবারে প্রচুর আয়োডিন থাকে বলে তা থাইরয়েড ভালো রাখে। এ গ্রন্থির কার্যক্ষমতা বাড়াতে আয়োডিন গুরুত্বপূর্ণ বলে সামুদ্রিক মাছ, চিংড়ির মতো খাবার খেতে পারেন।

আয়োডিনযুক্ত খাবার: ঠিকমতো কাজ চালাতে থাইরয়েডে আয়োডিনের প্রয়োজন পড়ে। বাড়িতে আয়োডিনযুক্ত লবণ খেতে পারেন।

ডিম: ডিমে আছে সেলেনিয়াম। এই খনিজ থাইরয়েডের টি৪ হরমোনকে রূপান্তর করে কার্যকর টি৩ হরমোনে পরিণত করে। তাই থাইরয়েড সুস্থ রাখতে ডিম খেতে পারেন।

আরও পড়ুন: খালি পেটে চা পানে হতে পারে যে সমস্যা

ভিটামিন সি পেতে হলে আমলকী, পেয়ারা, লেবু, কাঁচামরিচ, কমলা, আলু ইত্যাদি খেতে হবে। জিঙ্ক পাবেন গরুর মাংস, কলিজা, মুরগির মাংস, কুমড়ার বীজ, সরিষা ও ডিম থেকে।

ভিটামিন বি১, বা থায়ামিন পাওয়া যাবে ভুসিসহ আটার রুটি, লাল চাল, ওটস, চিনাবাদাম, ইত্যাদিতে। ভিটামিন বি২ বা রাইবোফ্লাভিন আছে দুধ, দই ও দুধজাত খাদ্যতে। 

হাইপোথাইরয়েডের রোগীদের দ্রুত ওজন বাড়াতে থাকে। বুক ধড়ফড় করে, হঠাৎ হঠাৎ গরম লাগে, অস্থিরতা অনুভব হয়। এদিকে হাইপার থাইরয়েডের রোগীদের ওজন কমে যায়, রক্তের চাপ বাড়ে, ডায়রিয়া ও স্মরণশক্তি কমে যায়।

দুই ধরনের রোগীরই সুষম খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এদের প্রচুর শাকসবজি, ফলমূল খেতে হবে। মাছ-মাংস-ডিম-ননীবিহীন দুধ চাহিদামতো খেতে হবে। মেটাবলিক রেট বেড়ে যায় বলে চা-কফি-চিনি বাদ দিতে হবে। তবে গ্রিন টি পান করা যায়। নিয়মিত হাঁটা বা ব্যায়াম করা উচিত।