টিকটকে সন্তান কী করছে? এখন জানা যাবে মুহূর্তেই
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৫ AM , আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৫ AM

বর্তমান প্রজন্মের টিনএজাররা প্রযুক্তিনির্ভর জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। স্মার্টফোনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটানো, গভীর রাতে ভিডিও দেখা কিংবা অচেনা অনলাইন বন্ধুত্ব—এসব অভ্যাস একদিকে তাদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতায় প্রভাব ফেলছে, অন্যদিকে বাড়াচ্ছে সাইবার ঝুঁকি।
এই প্রেক্ষাপটে, জনপ্রিয় ভিডিওভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম টিকটক প্রমাণ করছে যে তারা শুধু বিনোদনের উৎস নয়, বরং দায়িত্ববান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হিসেবেও কাজ করছে। কিশোরদের অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টিকটক নিয়ে এসেছে আরও শক্তিশালী ও মানবিক ‘ফ্যামিলি পেয়ারিং’ টুল এবং নতুন ‘উইন্ড-ডাউন’ ফিচার।
টিকটকের ‘ফ্যামিলি পেয়ারিং’ ফিচার অভিভাবকদের তাদের সন্তানের অ্যাকাউন্টের উপর নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের সুযোগ দেয়। নতুন আপডেট অনুযায়ী, অভিভাবকরা এখন নির্ধারণ করতে পারবেন ঠিক কোন সময়গুলোতে সন্তান স্ক্রিন ব্যবহার করতে পারবে না—যেমন স্কুল টাইম, ঘুমের সময় বা পারিবারিক সময়।
এছাড়াও, সন্তান অতিরিক্ত সময় চাইলেও অভিভাবকের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে, যা ডিজিটাল ডিসিপ্লিন গঠনে সাহায্য করবে। শুধু সময় নয়, অভিভাবকরা এখন দেখতে পারবেন সন্তান কাকে ফলো করছে, কে তাকে ফলো করছে কিংবা সে কাকে ব্লক করেছে—এসব তথ্য খোলামেলা আলোচনার পথ তৈরি করে।
আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো—যদি কোনো কিশোর কোনো ভিডিও রিপোর্ট করে, তাহলে সে চাইলে সেই রিপোর্টের একটি কপি অভিভাবক বা নির্ভরযোগ্য কোনো প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে পাঠাতে পারবে, এমনকি যদি ফ্যামিলি পেয়ারিং সক্রিয় না থাকে তবুও।
অধিকাংশ কিশোরই রাতে ঘুমের পরিবর্তে স্ক্রল করে সময় কাটায়। এই সমস্যার সমাধানে টিকটক চালু করেছে ‘উইন্ড-ডাউন’ নামের একটি নতুন ফিচার, যা ১৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য প্রযোজ্য। রাত ১০টার পর অ্যাপে প্রদর্শিত হবে শান্ত সুরের ভিডিও ও ঘুমানোর স্মারক বার্তা। কেউ যদি স্ক্রল চালিয়ে যায়, তবে আরও জোরালো রিমাইন্ডার আসবে।
প্রাথমিক তথ্য বলছে, অনেক কিশোরই নিজেরাই এই ফিচার সক্রিয় রাখছে—যা আত্মনিয়ন্ত্রণের ইতিবাচক দিক নির্দেশ করে।
এই নতুন ফিচারগুলো প্রমাণ করে, টিকটক শুধু কনটেন্ট ফিল্টার করে না, বরং পরিবারকেও কিশোরদের অনলাইন জীবনে যুক্ত রাখার একটি সেতুবন্ধন তৈরি করছে। এটি এক নতুন ধরণের ডিজিটাল অভিভাবকত্ব, যা প্রযুক্তির মাধ্যমে সন্তানদের নিরাপদ, ভারসাম্যপূর্ণ ও সচেতনভাবে বেড়ে ওঠায় সহায়তা করছে।