১৬ মে ২০২২, ১৩:৪৫

আরও ১০০ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ হচ্ছে

১০০টি কারিগরি স্কুল ও কলেজ স্থাপনের সিদ্ধান্ত  © লোগো

দেশ-বিদেশে শ্রমবাজারে চাকরির সুযোগ বাড়াতে যুব সমাজকে দক্ষ করতে সরকার আরও ১০০টি কারিগরি স্কুল ও কলেজ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে দেশের ১০০টি উপজেলায় বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সুবিধা সম্প্রসারণে অবকাঠামোও স্থাপন করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ এ উদ্যোগ নিয়েছে।

 
২০১৪ সালে ৯২৪ কোটি ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নেওয়া প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর মেয়াদ ধার্য করে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৫২০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২০১৮ এবং ২০২১ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সময় নির্ধারণ ও ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সর্বশেষ ১০ মে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সংশোধিত প্রস্তাবটি অনুমোদন করে।  

পরিকল্পনা কমিশন জানিয়েছে, প্রকল্পটি চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) চলমান প্রকল্প তালিকায় ৪৮৮ কোটি ৪২ লাখ টাকা বরাদ্দসহ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সরকারের ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ৪র্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবেলায় দক্ষ ও প্রশিক্ষিত মানবসম্পদ উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র আজ থেকে ডাউনলোড শুরু

প্রস্তাবিত প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের কারিগরি শিক্ষা গ্রহণের পরিবেশ উন্নত হবে। আরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পাবে এবং প্রশিক্ষিত মানবসম্পদের উন্নয়ন ঘটবে। যা সরকারের ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে, ভূমি অধিগ্রহণে বিলম্ব, অনাবাসিক ভবন, ভূমি অধিগ্রহণ, প্রকৌশল ও অন্যান্য সরঞ্জাম, সেমিনার কনফারেন্স, আউটসোর্সিংসহ কতিপয় খাতে ব্যয় বৃদ্ধি, যানবাহন ক্রয়, পরামর্শক ব্যয়, কাঁচামাল ও খুচরা যন্ত্রাংশ, বইপত্র-সাময়িকী ইত্যাদি খাতে ব্যয় কমানো এবং প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদ ৩ বছর বাড়ানোর জন্যই প্রকল্পটি সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছিল।

এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. এম শামসুল আলম জানিয়েছেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে দেশের পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের কারিগরি শিক্ষা গ্রহণের পরিবেশ উন্নত হবে। অধিক সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পাবে। প্রশিক্ষিত মানবসম্পদ বিদেশে রফতানির মাধ্যমে এতে অধিক বৈদেশিক মুদ্রাও আসবে।